হাজীগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহম্মদের (৮২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বাদ যোহর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা’র পূর্বে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করে উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে রোববার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহম্মেদ। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন ও বহু গুনগ্রাহী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
সোমবার দুপুরে জানাযার পূর্বে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত গার্ড অব অনারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিকের নেতৃত্বে মরহুমের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করেন, হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু।
এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কপিনে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে জানাযা শেষে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কবরস্থানে বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহম্মদকে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন ধড্ডা চৌধুরী বাড়ী মৃত আবদুল হামিদ মুন্সীর ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহম্মদ ব্যক্তিজীবনে সামাজিক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। পারিবারিক জীবনে অস্বচ্ছল হলেও তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে বহু সামাজিক ও মানবিক কাজ করেছেন।
এছাড়াও গাজী আলী আহম্মেদ তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন সময়ের বিভিন্ন স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে দুইটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।