হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিনব্যপী চলে ভোট গ্রহন। মঙ্গলবার ২১ মে সকাল ৮টায় থেকে বিকেল ৪টায় পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন চলে। নিশ্ছিদ্ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলে এই ভোট গ্রহন। ভোট নিতে এর আগের দিন সোমবার সকল প্রস্তুতি শেষ করে উপজেলা প্রশাসন। ওই দিন ভোট নিতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ভোটের সরঞ্জাম। মঙ্গলবার সকাল ৮টার পূর্বে কেন্দ্রগুলোকে নিরাপত্তার চাদরে নিয়ে নেয় প্রশাসন। বিকেল ৪টায় পর্যন্ত নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ভোট দেন ভোটাররা। তবে রামপুর ও শ্রীপুর ভোট কেন্দ্রের বাহিরে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তার চাদরে কেন্দ্রগুলো ডাকা হলেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিলো একেবারেই কম। তবে কিছু কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের বিপরীতে মহিলা ভোটার সংখ্যা ছিলো বেশি। অনেক কেন্দ্রে দুপুরের পরেও নগন্য ভোট পড়েছে। ভোটার সংখ্যা বাড়াতে প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেনি। সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীপুর ভোট কেন্দ্রের বাহিরে উপজেলা পরিষদের নয়া ভাইস চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুমন এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে মারধর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের তারাপাল্লা কেন্দ্রে সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন কিসলুকে মারধর করে দোয়াত কলম প্রার্থীর সমর্থকরা এবং কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাহিরে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দূস্কৃতকারীরা। পরে এসব কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে প্রশাসন।
এ উপজেলা মোট ভোটার ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪শ’৯০ ভোট। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮শ’ ৯০ ভোট ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬শ’ ৪৫ ভোট। এর বিপরীতে ৫২ হাজার ৭শ’৮০ ভোট কাস্টিং হয়েছে। সব মিলিয়ে নিরব কেন্দ্রে নিরবে ভোট বিল্পব ঘটিয়ে আনারস মার্কা নিয়ে উপজেলা পরিষদের নয়া চেয়ারম্যন নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। তিনি ২৬ হাজার ৫২৮ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বে-সরকারী ফলাফলে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাজী জসিম উদ্দিন ঘোড়া মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু সুফিয়ান রানা ঘোড়া মার্কা নিয়ে তিনি মোট ভোট পেলেন ১ হাজার ৩০ ভোট।
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবারের নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুবি বেগম ২৪ হাজার ১৯৯ভোট পেয়েছেন। রাবেয়া আক্তার ৩ হাজার ৮’শ৮৫ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ফলাফলে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।