স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মসজিদের কমিটি ও উন্নয়নমূলক কাজের আলোচনার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৮ জন। ৬ মে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের দহশ্রী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের নতুন কমিটি ও উন্নয়নমূলক কাজের আলোচনা করা অবস্থায় প্রতিপক্ষগণ তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, পূর্বের পরিকল্পিত প্রতিপক্ষের হামলায় মসজিদের মুসল্লী এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি কে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিপক্ষরা দা,রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুসল্লী, গণ্যমান্য ব্যক্তিরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদেরকে বেদম মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখন করেন, বর্তমানে তারা শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন, খবর পেয়ে খিলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এসআই রফিকুল ইসলাম ও সঙ্গীয ফোর্স ঘটনাস্থলে যান। এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তকারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইকবাল হোসেন গং মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য ইমামকে বাধা দেন । পরে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান এর নির্দেশে ৭ মে শনিবার এসআই রফিকুল ইসলাম এর মাধ্যমে জোহরের নামাজ থেকে নিয়মিত মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
গুরুতর আহতদের পরিবার সূত্রে জানায়
দহশ্রী গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন, ফারুক হোসেনের ছেলে আবু জাফর সোহাগ, কারী ইয়াকুব আলীর ছেলে মাহবুব আলম, আলমগীর হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন,মৃত আবদুল আউয়ালের ছেলে মোঃ নূরুল ও আমিনূল ইসলাম, আমিনুল ইসলামের ছেলে হাসান, নজরুল মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রাজু,সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফসহ তাদের সঙ্ঘবদ্ধ দল নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করেন
এতে দহশ্রী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৬৫), মফিজুর রহমান (৬০), মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আক্তারুজ্জামান(৪০) আবুল কাশেমের ছেলে মাছুম (১৭), এমরান হোসেন (২৫) হাজেরা বেগম (২৫) রিনা আক্তার (৩২) রিয়াদ হোসেন (২৪)সহ আরো কয়েকজনকে গুরুতর আহত করেছেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে
প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলম ও ইকবাল হোসেন গং পাশের বাড়ির বাসিন্দা সমাজের কাউকে তোয়াক্কা করেন না, উশৃংখল ও খারাপ প্রকৃতির লোক, সমাজের কাউকে মান্য করেন না, মসজিদ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজের বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে হট্টগোলের সৃষ্টি করে থাকেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলাম ও ইকবাল হোসেন গং জানান আমাদের বাড়ীর পুরনো মসজিদ, আমাদের বাপ দাদাদের দেওয়া সম্পত্তিতে মসজিদ নির্মাণ হয়েছে, আমরা কারো উপরে আক্রমণ ও মারধর করেনি যারা আমাদেরকে অভিযুক্ত করেছেন বরং তারা নিজেরাই মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আমরা মারধর করেছে তা সম্পূর্ণ অসত্য, বরং আমাদের কে মারধর করে আহত করেছে এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।