গবেষকেরা বলছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য সপ্তাহে ৫ দিন ১৫০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম যথেষ্ট।করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেছে। শীতও কমছে। পার্কে বা ব্যায়ামাগারে যাওয়া নিয়ে তেমন বিধিনিষেধ থাকছে না। তবু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত, বিশেষ করে বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের। তবে তাঁদেরই আবার নিয়মিত হাঁটাহাটিঁ বা ব্যায়ামেরও দরকার। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবার শুরু হোক ব্যায়াম। বাইরে যেতে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তবে যদি খোলা জায়গা হয় বা আশপাশে লোকজন না থাকে, তাহলে ব্যায়াম করার সময় মাস্ক ব্যবহার না করলেও চলবে। জিমে গেলেও মাস্ক খুলে রাখবেন।সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়াম ও সঠিক পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। অ্যারোবিক ব্যায়াম হলো সেই ধরনের কার্যক্রম, যার ফলে হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয় ও শরীর ঘামতে শুরু করে। যেমন জোরে হাঁটা, সাইক্লিং, জগিং, দড়িলাফ, দৌড়ানো, নৃত্য, সাঁতার ইত্যাদি।একজন সুস্থ–সবল মানুষের প্রতিদিন ৩০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম করা জরুরি। কেউ চাইলে এর বেশিও করতে পারেন, তবে তা নির্ভর করবে শারীরিক সুস্থতা ও ক্ষমতার ওপর। গবেষকেরা বলছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য সপ্তাহে ৫ দিন ১৫০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়ামই যথেষ্ট।যাঁরা দীর্ঘ বিরতির পর আবার নতুন করে ব্যায়াম শুরু করবেন, অথবা হৃদ্রোগ বা অন্যান্য শারীরিক অসুখে ভুগছেন, তাঁদের ব্যায়াম করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যেকোনো অ্যারোবিক ব্যায়াম শুরু করার আগে ওয়ার্মআপ ও কুলডাউন করা প্রয়োজন। ঢিলেঢালা পোশাক পরা ও আরামদায়ক জুতা পরিধান জরুরি।বাসায় বা যেকোনো খোলা জায়গায় (পার্ক বা ছাদ) যে ধরনের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে পারেন
:জগিং জাম্প: দুই পা ফাঁক করে দাঁড়ান। এবার দুই হাত ওপরে তুলে লাফ দিন। জগিং জাম্প ১০ মিনিটে ১০০ ক্যালরি বার্ন করে।
দড়িলাফ: মাত্র ২০ মিনিট দড়িলাফে প্রায় ২২০ ক্যালরি বার্ন হয়। যদিও দেখতে খুব সোজা, কিন্তু এটি উচ্চমাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম। ১০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন।
জগিং: একই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রথমে বাম–ডান, বাম–ডান করতে থাকুন। এরপর ধীরগতিতে শুরু করে গতি বাড়ান। এভাবে ১০–১৫ মিনিট জগিং করতে পারেন।
চাইলে যেকোনো ব্যায়াম ৩০ মিনিট করতে পারেন, আবার যেকোনো ৩টি অ্যারোবিক ব্যায়াম ১০ মিনিট করে করতে পারেন।
এ ছাড়া নিয়মিত হাঁটার বিকল্প নেই। তাই সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটতে পারেন খোলা জায়গায়।
কপালভাতি: এটিও ব্রিদিং ব্যায়ামের একটি ধরন। চেয়ারে বসে ছোট ছোট শ্বাস নিন, কিন্তু ছাড়ুন জোরে জোরে। এবার নাকের এক পাশ বন্ধ করে, অন্য পাশ দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ছাড়ুন। একইভাবে অন্য পাশের নাকের ছিদ্র বন্ধ করে আরেক পাশ দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ছাড়তে হবে। ১০ থেকে ২০ বার করুন দিনে দুই বেলা।