বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার কার্যকরী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ৫১ পদের মধ্যে ২১ পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই ২১ পদে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপর ৩০ পদে অংশগ্রহণকৃত প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন।
বিকাল ৩টায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু এবং গণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে মো. তুহিন হায়দার ৬০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আহসান হাবীব পেয়েছেন ৩৩৩ ভোট ও রৌশন আখতার ৫ ভোট।
নির্বাহী সভাপতি পতে মো. রাশেদুজ্জামান ৪৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ মনজুর হোসেন পেয়েছেন ২৬৪ ভোট ও মোঃ সায়েদুল বাসার জুয়েল ১৩৯ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. জামাল হোসেন ৬১২ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মনজিল হোসেন পেয়েছেন ৬০১ ভোট ও অলক চন্দ্র দত্ত ৩৯৯ ভোট।
সিনিয়ার সহ-সভাপতি পদে রাবেয়া আক্তার ৪৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমেনা বেগম পেয়েছেন ৪৩২ ভোট।
সহ-সভাপতি (৩ জন) একরাম হোসেন ৫৮৭ ভোট, মো. মোস্তফা কামাল ৪৮৯ ভোট ও মো. সামছুদ্দিন ৪১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শরীফ মো. আলী হোসেন মোল্লা ৩৯৩ ভোট, মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৩১৯ ভোট ও সমর কৃষ্ণ রায় ৩১৭ ভোট।
সহ-সভাপতি (মহিলা ২ জন) ফারজানা আমিন ৬৭৮ ভোট ও শাহিনুর বেগম ৬২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রৌশন ইয়াজদানী পেয়েছেন ৩২৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ কামাল হোসাইন চৌধুরী ৫৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৯২ ভোট ও মো. নুরুল আমিন ৫ ভোট।
নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পদে এমরান হোসেন ৭৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাছমিন হায়দার পেয়েছেন ১৬২ ভোট।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে বজলে আজিম আরমান চৌধুরী ৬৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আমির হোছাইন পেয়েছেন ২৬৩ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক (পুরুষ ২ জন) পদে মোহাম্মদ শহীদ উল্যাহ ৬৭৯ ভোট ও এএনএম মঞ্জুর মাওলা ৫৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন পেয়েছেন ৪৩৬ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক (মহিলা) কোহিনুর আক্তার ৪৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শারমিন আক্তার পেয়েছেন ৪৩৬ ভোট।
সহ-সম্পাদক (পুরুষ ২ জন) পদে মোহাম্মদ মাহাবুব আলম ৫৯৯ ভোট ও বি.এম শরিফুল আলম ৫৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯০ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৪৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আলমগীর পেয়েছেন ৪৫০ ভোট।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল ৬৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন পেয়েছেন ২৪৬ ভোট।
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন ৫৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালেহ আহম্মদ পেয়েছেন ৩৯০ ভোট।
নির্বাচনে কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন, জেলা নির্বাচন কমিশনার মো. মোস্তফা কামাল, সদস্য বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী ও জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রিসাইডিং অফিসার গিয়াস উদ্দিন কবির, সহ-প্রিসাইডিং অফিসার হুমায়ুন কবির, হাসিনা আক্তার ও নাছির উদ্দিন, পোলিং অফিসার আকতার হোসেন, আকবর হোসেন, আলাউদ্দিন, বাহাউদ্দিন, নূরে আলম ও শিবলি সাজ্জাদ।
এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব পালন করেন, আহবায়ক মোতাহেরুল হক, সদস্য সচিব ছারওয়ার আলম, সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, মিজানুর রহমান, খোরশেদ আনোয়ার, সামছুল আলম ও বিল্লাল হোসেন। নির্বাচনে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন।