নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নির্মাণাধীন পাঁচটি ভবনে অভিযান চালিয়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা আদায়, ভেঙে দিয়েছেন ভবনের বর্ধিত অংশ, ভবন মালিকদের অর্থদণ্ড করাসহ জুয়েল ও সজিব ওরফে মুন্না নামে ২ শ্রমিককে ৭ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১ টা থেকে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চিটাগাংরোড এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার জানান, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং রাজউকের অনাপত্তিপত্র ও নকশা বহির্ভুতভাবে ভবন নির্মাণ করছেন আবুল হোসেন, মকবুল হোসেন, সামছুন্নাহার, সুফিয়া বেগম ও রেজিয়া বেগম। নিয়ম অনুযায়ী মহাসড়কের পাশে ৩০ ফুট জায়গা ছেড়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে হয়। তারা এ নিয়ম মানেননি। ফলে বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রত্যেক মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে অংশ নেওয়া ২ শ্রমিক ভবন মালিকদের কাছে অর্থদাবি ও গ্রহণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
ভবন মালিক আবুল হোসেন বলেন, শ্রমিক জুয়েল ও সজিব কম ভাঙবে বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। তখন আমরা নগদ ৩ হাজার টাকা দেই। বাকি টাকা ম্যানেজ করে দিব বল্লেও তারা ম্যাজিস্ট্রেদের দেখানো সীমানা ছাড়িয়ে বেশি ভাঙচুর শুরু করে। তখন আমরা বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ভবন মালিক সুফিয়া বেগম জানান, অনেকদিন ঘুরেও রাজউকের প্লান পাস করতে পারেনি। তবে নকশা মতেই নির্মাণ কাজ শুরু করলে রাজউকের পরিদর্শক পারভেজ আহমেদ কাজ বন্ধ করে দিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলে। আমরা অফিসে গেলে তিনি আমাদের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে কাজ শুরু করতে বলেন। তার কথা মতেই কাজ করি। গত ২ মাস আগে জোন-৮/২ অফিস থেকে পারভেজ বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, যেহেতু তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। তাই ভবন মালিকদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, রাজউক জোন-৮-২ এর অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মণ্ডল, সহকারী অথরাইজড অফিসার নীপেন চন্দ্র শিকদার, প্রধান পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক, পরিদর্শক মাজেদুল ইসলাম।