মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
হাজীগঞ্জে সামুদ্রিক রূপচাঁদা মাছ বলে প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ। বিভিন্ন হাট-বাজারসহ হকারি করে বাসা-বাড়িতে দেদারছে বিক্রি করছে এই পিরানহা মাছ। আর সহজ সরল মানুষ কমদাম পেয়ে এবং রুপচাঁদা মাছের নাম শুনে কিনে নিচ্ছেন এই মাছগুলো
সরজমিনে হাজীগঞ্জের বাকিলা মাছ বাজারে গেলে দেখা মিলে পিরানহার। প্লাষ্টিকের ট্রে’তে সাজানো এই মাছ খুচরা কেজি দেড়’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিক্রেতা। এই বিক্রেতা আরো জানান তিনি ৯০ টাকা কেজি দরে পাইকারি কিনে আনেন ।
এ সময় তিনি আজকের পর আর পিরানহা মাছ বিক্রি করবেন না বলে এই প্রতিনিধি জানান।
জানা যায়, হাজীগঞ্জের হাট- বাজার গুলোতে মূলত রেড বেলি পিরানহা মাছ বেশি পাওয়া যায়। একটি অসাধু চক্র এই মাছ হাজীগঞ্জের হাট বাজার গুলোতে এনে থাকে। এ ছাড়া সামুদ্রিক রুপচাদা বলে গ্রামে গ্রামে নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করে গুটি কয়েক অসাধু মাছ ব্যবসায়ী।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, মাংস খেকো কিংবা মাংসাশী মাছ হিসেবে পিরানহা মাছ সাধারণত দুই প্রকার। ব্ল্যাক বেলি পিরানহা (কালো পেটওয়ালা) ও রেড বেলি পিরানহা (লাল পেটওয়ালা)। এ মাছের প্রধান আবাসস্থল মূলত দক্ষিণ আমেরিকা, ব্রাজিলসহ কয়েকটা দেশের নদীতে বসবাস করে। সম্প্রতি সময় দেশে বিভিন্ন পুকুরে স্বল্প পরিসরে আর গোপনে এই মাছ চাষ হয়,মুলত এই পিরানহা গুলোই মফস্বলে বিক্রি হয়ে থাকে। এটি হিংস্র এবং রাক্ষুসে মাছ।
মানুষ খেকো মাছ হিসেবে পরিচিত ধারালো দাঁত আর প্রায় মানুষের মতো জিহ্বা থাকার কারণে সে তার শরীরের ১০ গুণ বেশি শক্তিতে কামড় দিতে সক্ষম। পিরানহা মাছের চর্বি মানবদেহে শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে। পিরানহা মাছ খেলে মানসিক সমস্যাসহ মানুষের দেহে নানান রোগের সৃষ্টি করে।
হাজীগঞ্জের গ্রামের হাট-বাজার কিংবা গ্রামে ফেরি করে পিরানহা মাছ বিক্রির বিষয়ে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার নজরে ছিলো না, এখন থেকে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।