বছর যতই যাচ্ছে প্রিয় ফরিদগঞ্জ যেন ছোট হয়ে আসছে। যত্রতত্র নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ঘর-বাড়ি নির্মাণ ছোট হওয়ার একমাত্র কারণ। তবে এ ছোট হওয়াটা আয়তনে নয় আবাসন স্থাপনা নির্মাণে ।
জানা গেছে এই উপজেলাটি প্রবাসী অদ্যসূত জনবল হওয়ায় । প্রবাসীরা টাকা অন্যভাবে পরিচালনা না করে একে অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে এ ঘর-বাড়ি নির্মাণ। এতে করে ফসলি জমি বিনষ্ট হয়ে চরম খাদ্য সংকটের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান মানুষের জীবনের প্রধান মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য প্রথম স্থানে। কারণ মানুষের জীবনে খাদ্যের চাহিদা পূরণ না করা গেলে অন্য চাহিদাগুলো পূরণ করার আর প্রয়োজন হয় না। পেটে যদি খাদ্য থাকে তাহলে বস্ত্র ও বাসস্থানের প্রয়োজন দেখা দেয়। আর যদি পেটে খাদ্য না থাকে তাহলে অট্টালিকা তো দূরের কথা সামান্য বস্ত্র পরিধানের কথাও মনে থাকে না। অনাহারী পেটে খাদ্যটাই প্রধান চাহিদা হিসেবে দেখা দেয়, বাসস্থান নয়।
কিন্তু ফরিদগঞ্জে বর্তমানে ঘর-বাড়ি নির্মাণে যেভাবে কৃষি জমি ব্যাবহার করা হচ্ছে তাতে মনে হয় খাদ্যের আগে বাসস্থানের প্রয়োজনটাই খুব বেশি। খাদ্য না হলেও চলবে।
উপজেলার জনসংখ্যা অনুপাতে কৃষিজমি খুব বেশি নয়। বিগত ৪০-৫০ বছর পূর্বে যে পরিমাণ জনসংখ্যা ছিল বর্তমান জন সংখ্যা তার দ্বিগুনেরও বেশি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে আয়তন কিছুই বাড়েনি, বেড়েছে খাদ্যের চাহিদা, কমেছে কৃষিজমির পরিমাণ, দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকট।
বাড়ি নির্মাণের কোন নিয়ম-নীতি না থাকায় ভূমিদস্যদের জমি দখল পাশাপাশি জবরদখলকৃত জমি বৈধ করতে রাতা রাতিন নতুন ঘর-বাড়ি নির্মাণ করার রেওয়াজ এই উপজেলায় চালু আছে। অন্যের জমি জবরদখল করে অপ্রয়োজনী নতুন ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে কোর্ট কাছারিতে দখল সত্য প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করার কারণে অনেক কৃষি জমি কমে যাচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ফসলি জমিতে ঘর-বাড়ি তৈরি করার একটি খসড়া আইন থাকলেও জন সাধারণ বা নির্মাণকারীরা এসব আইনের তোয়াক্কা করছে না। যদি এভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ না করে অদূর ভবিষ্যতে আরো বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়বে এ অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে এখন থেকে জেলা প্রশাসক সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটি পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা চালু করার জন্য সুশীল সমাজ আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।