মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার সীমানাবর্তী ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত খোর্দ্দ ও জগন্নাথপুর সেতু হিসাবে পরিচিত গুলজার সেতুর দুই পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডাকাতিয়া নদী খননের (ড্রেজিং) ড্রেজার দিয়ে গত দুই দিন ধরে টানা বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করায় হুমকি ও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এই সেতু।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে এর সত্যতা পাওয়া যায়। যা বালু ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৪নং ধারার ‘খ’ উপ-ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
‘খ’ উপ-ধারায় উল্লেখ রয়েছে, সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে, অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ সেতুর মাত্র ৫০-৬০ ফুটের মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিনব্যাপী ডাকাতিয়া নদীর খোর্দ্দ ও জগন্নাথপুর সেতুর (গুলজার সেতু) পূর্ব পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। এরপর বুধবার সেতুর পশ্চিম পাশ থেকে বালু উত্তোলন শুরু করা হলে সংবাদকর্মীদের খবর দেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ডাকাতিয় নদী খনন (ড্রেজিং) কাজের ঠিকাদার মনতা কনস্ট্রাকশনের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি এবং পরে ফোনও ব্যাক করেনি।
তবে এ সময় মুঠোফোনে কথা হয়, মনতা কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার মো. নাজমুল ইসলামের সাথে। তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন এবং সেতুর পাশ থেকে তাৎখনিক বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, সেতুর ১২০ ফুট পর থেকে বালু উত্তোলন করা যায়। কিন্তু ড্রেজারের অপারেটর ভুল করে সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করেছেন। তাই তাৎখনিক বালু উত্তোলন বন্ধ করে তাকে (ড্রেজার অপারেট) সেতুর অন্তত দুইশ ফুট পর থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছি।