মতলব উত্তর ব্যুরো :
চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার মেঘনা নদীর সীমানা নির্ধারণের পর মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাড়ি’কে চাঁদপুর জেলার সীমানা সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে বুঝিয়ে দেয়া হয়। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার চর চারআনি মৌজা ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চর আব্দুল্লাহ মৌজার সীমানা নির্ধারণ করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে সীমানা নির্ধারণের পর বাংলাদেশ নৌ পুলিশ মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামানকে বুঝিয়ে দেন মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। ইতিমধ্যে মেঘনা নদীর মাঝখানে দুই জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ সীমানা বয়া ও লাল নিশান দিয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চর আব্দুল্লাহ মৌজার বালুমহলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্লাহ, সার্ভেয়ার আবুববর সিদ্দিকসহ সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে চর আব্দুল্লাহ বালুমহলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৪২৯ বাংলা সনে চর আবদুল্লাহ বালুমহল এটি মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়নে অবস্থিত। গত ৩ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার কোর্টগাঁও গ্রামের হাজী মো. ফারুক ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারা প্রদান করেন। ৬ এপ্রিল ২০২২ইয় তারিখে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ০৫.৩০.৫৯০০.৩০৩.০৪.০০১.১৭-১০২ নং স্মারকে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. এরশাদ মিয়া স্বাক্ষরিত পত্রে এ ইজারা দেয়া হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বলেন, চাঁদপুরের সীমানায় কোন বালু মহল সরকার ইজারা দেননি, তাই চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা সীমানায় কোন প্রকার বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে মতলব উত্তরের সীমানায় বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।