বখাটেরা সুযোগ বুঝে স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রীদের অশালীন উক্তি ছুড়ে দিচ্ছে। বখাটেদের এসব অশালীন উক্তি স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীরা নীরবে সহ্য করে গন্তব্যে যাচ্ছে। বিষয়টি অপরাধ হলেও এ ব্যাপারে কোনো প্রতিরোধ না থাকায় তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বখাটে দ্বারা উৎপাতের শিকার হলেও লোকলজ্জার ভয়ে কেউ ঘটনা প্রকাশ করছে না। এতে ছাত্রীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের অভিভাবকরা থাকেন দুশ্চিন্তায়।
সম্প্রতি সরেজমিন, যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাড়ায় মহল্লায় বখাটেদের উৎপত বিচরণ বেড়েছে বিশেষ করে পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিস রোড থেকে নিখিল কমিশনারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ রোড থেকে করিম বাগান সংলগ্ন এলাকা, হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ রোড থেকে কলেজ সংলগ্ন এলাকা, রান্ধুনীমুড়া অবস্থিত রান্ধুনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক থেকে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকা, বলাখাল বাজারের চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মকবুল আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজ ও বলাখাল জে এন
উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকা,টোরাগড়ে অবস্থিত হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকা, আলীগঞ্জ পি টি আই সংলগ্ন এলাকাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার আশেপাশে গড়ে ওঠা চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন এলাকায় বখাটেদের আনা গোনা চোখেপড়ার মতো লক্ষ্য করা গেছে।
সমাজের সচেতন মহল মনে করেন,নিয়মিত পুলিশী টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও পারিবারিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে এ সব সামাজিক সমস্যা দূর করা সম্ভব।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু ছাইদ বলেন, আমার নিজের প্রতিষ্ঠানের সামনে অনেক সময় এই অবস্থা বিরাজ করে । তবে করোনা কালে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে বখাটেদের উৎপাত চরমভাবে বেড়েছে। তারা নূন্যতম শিক্ষকদেরও সম্মান করে না। বিষয়টি শিক্ষিত সমাজকে ভাবিয়ে তুলছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা তারা ইচ্ছা করলেই বখাটেদের সাথে সংঘাতে জড়াতে পারেন না।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের নজরে এসেছে। চিহ্নিত স্থান সমূহে নজর রাখা হচ্ছে।