কচুয়া,(চাঁদপুর)প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত ফায়ার লিডার চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৬ নং ইউনিয়নের সিংআড্ডা গ্রামের সন্তান মজুমদার বাড়ীর এমরান (৪০) মজুমদার নিহত হয়েছেন ।
সিংআড্ডা গ্রামের মৃত মকবুল ক্বারীর ছেলে ফায়ারম্যান এমরান হোসেন মৃত্যু কালে দুইটি সন্তান ৭ মাসের অন্তাঃস্বত্তা স্ত্রী রেখে গেছেন। ফলে অনাগত সন্তানের মূখ দেখা হল না বাবা এমরান হোসনের ।
শেষ বারের মত নিহত ফায়ার লিডার এমরান হোসেনের লাশ দেখার অপেক্ষায় পরিবার ও আত্মীয় স¦জনরা ।
নিহত এমরান হোসেন ২০০১ সালে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ফায়ার লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভিতরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডরোধ করতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সঙ্গে যান এমরান হোসেন। সেখানে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণে এমরান হোসেন মজুমদার নিহত হন।
নিহতের খবর শুনে তার গ্রামের বাড়ি কচুয়ার সিংআড্ডা গ্রামে কান্নার আহাজারি নামে। নিহত এমরান হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, ছেলে তাহসিন মজুমদার ও একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে তোবা মজুমদার রয়েছেন। স্বামীকে হারিয়ে অন্তাঃস্বত্তা স্ত্রী ও সন্তান বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আত্মীয় স্বজনদ ও পরিবারের লোকজনের কান্নার আহাজারিতে এলাকয় শোকের ছায়া নেমে আসছে ।
নিহত এমরান হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, শনিবার রাত নয়টার সময় আমার সাথে আমার স্বামী এমরানের শেষ কথা হয়, তারপর থেকে মোবাইল অনেকবার চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারি নাই । আমি আমার স্বামীর লাশটা শেষ দেখা দেখতে চাই …………
নিহতের ভাই সোলেমান পাটওয়ারী বলেন, শনিবার রাতে আমার ভাই এমরান মজুমদার বাড়িতে শেষ কথা বলেন। আমরা শুধু আমার ভাইয়ের লাশটা এক নজর দেখতে চাই । ভাইয়ের এমন মৃত্যু আমরা মানতে পারছি না…………
এসময় নিহত ফায়ার লিডার এমরান হোসেনের পরিবার ও আত্মীয় স¦জনরা তার লাশ শনাক্ত করে গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।