মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
পূর্ব শত্রæতার জেরে উজ্জ্বল মিয়াজী খুন হওয়ার একমাস পেরিয়ে গেলেও ধরা পড়েনি হত্যার সাথে জড়িতরা। অভিযোগ উঠেছে, আসামিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের কারণে পুলিশ খুনিদের গ্রেপ্তারে টালবাহানা করছে। অপর দিকে মামলার কোনো আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিচারের আশাই ছেড়ে দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত উজ্জ্বল মিয়াজীর বড় ভাই মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী। আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নে ষাটনল পর্যটক কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। গত ৫ মে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নৌ ডাকাত বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাশী, কবির খালাসি’সহ এ চক্রের সহযোগীরা এ হত্যাকাÐটি ঘটিয়েছে বলে এজাহারে বলা হয়।
নিহতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজি বাদি হয়ে মতলব উত্তর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হত্যাকান্ডের একমাসেরও বেশি সময় পাড় হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, এক ঈদ পুর্নমীলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ শশুরবাড়ী চাঁদপুরে যান রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জল মিয়াজী। রাতে তিনি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করতে গেলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে নৌ ডাকাত কবির খালাসী, জজ মিয়া খালাসী, নাহিদ খালাসী, তুষার খালাসী ও বাবলা ডাকাত ও ফরিদ গাজী’সহ এ চক্রের আরও ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য। পরে উজ্জলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ মাটিতে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় কবির খালাসিকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী। তবে এ হত্যাকাÐের ১ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামিকে করা হয়নি। নিহতরে স্বজনদের দাবি, আসামিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের কারণে খুনিদের গ্রেপ্তারে টালবাহানা করছে পুলিশ।
গত ১ মাসে চাদপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিহতের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেও কোনো প্রতিফলন পায়নি নিহত উজ্জল মিয়াজীর পরিবার। এমন অবস্থায় বিচারের আশাই ছেড়ে দিয়েছেন তারা।
উজ্জল মিয়াজী হত্যকাÐের সকল আসামীকে গ্রেপ্তারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে প্রশাসন। নিহতের পরিবার পাবে সুষ্ঠু বিচার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন জানান, মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামি গ্রেপ্তার করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওই তদন্ত কর্মকর্তা।