মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
চাঁদপুর জেলায় গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারিতে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এদিন দুপুরে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের কাছ থেকে সম্মামনা ক্রেস্ট ও সনদপত্র গ্রহণ করেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাইনুদ্দিনের পক্ষে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভীন মিলি।
জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ ও নরমাল ডেলিভারিতে জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে হাজীগঞ্জ উপজেলা। আর হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ২০১৭ সাল থেকে গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারিতে ব্যাপক কার্যক্রম করে যাচ্ছে।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফার নেত্বত্বে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসবত্তোর সেবা বিষয়ক ইনোভেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ নরমাল ডেলেভারি বাস্তবায়ন।
শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, নরমাল ডেলিভারির লক্ষ্যে একজন মায়ের গর্ভকালীন অন্তঃত ৪ বার সেবা প্রদান, নরমাল ডেলিভারিও প্রসবকালীন জটিলতা এড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকে মাধ্যেম ২৪ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে। যার ফলে লোকজন উপকৃত হচ্ছে এবং আমরাও এর সুফল পাচ্ছি।
উল্লেখ্য, প্রসবকালীন জটিলতা ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ততা থেকে মুক্তি পেতে এবং মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি এড়াতে গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা এবং প্রসবোত্তর সেবা কার্যক্রম জোরদারকরণে ২০১৭ সাল থেকে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে ‘নিরাপদ মাতৃত্বে আমরা সবাই’ নামক একটি ইনোভেশন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।
এই ইনোভেশন কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ছিল, গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদে এবং জটিলতামুক্ত নরমাল প্রসবের ব্যবস্থা করা। এতে একদিকে মায়ের শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পাবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং মা ও শিশু সুস্থ থাকবে। কারন মা ও শিশু সুস্থ থাকলে, ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। তাই, হাজীগঞ্জে গর্ভবতী মায়েদের আগ্রহের কেন্দ্র হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।