মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
জমজমাট আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা খাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হাজীগঞ্জে বাজারস্থ সান্ত¡না সুপার মার্কেটের দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব। প্রতিদিন দুপুর দুইটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দুইদিনেই ছিল লোকে লোকারণ্য। শেষ দিন শনিবার সন্ধ্যায় পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকৃত উদ্যোক্তাদের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ এবং রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই পিঠা উৎসব।
পিঠা উৎসবের প্রথম ও শেষ দিন সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঐতিহ্য ধরে রাখা আর হারিয়ে যাওয়া দেশীয় সংস্কৃতি পুনরুজ্জিবিত করতেই এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে সান্ত¡না সুপার মার্কেট। এদিন দুপুর থেকে কানায় কানায় পূর্ণ পিঠা উৎসবের স্থান। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ছোট-বড় সব বয়সি মানুষ মেলায় আসে পিঠা খেতে আর উপভোগ করতে আসেন এই পিঠা উৎসবে। সন্ধ্যার পরে শিল্পীরা মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের।
কথা হয় ইশার পিঠা ঘরের তরুণ উদ্যোক্ত ইরা খানের সাথে। তিনি জানান, দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় এবং এক সময় শখের বসে তিনি নিজেই পিঠা তৈরি করতেন। পরে কৌতুহলবশত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লোভনীয় স্বাদে ও গন্ধে ক্রেতার মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। ক্রেতার কথা বিবেচনা করে এ পিঠা উৎসবে তার অংশগ্রহণ।
মেলায় বিকিকিনিও বেশ ভালো হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, শুধু পিঠা নয়, ছোট-বড় সবধরনের অনুষ্ঠানের কেক ও খাবার সরবরাহ করে থাকেন। এ ছাড়াও নিজের মধ্যে নয়, এ কাজ ছড়িয়ে দিচ্ছেন অন্য আগ্রহী নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে। তার এ কাজে শুরু থেকেই বেশ সাড়া পাচ্ছেন।
সান্ত¡না সুপার মার্কেটের পরিচালক ডা. মাজহারুল ইসলাম রনি বলেন, বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খল এবং উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো এ পিঠা উৎসব। এ জন্য তিনি আয়োজক ও কারিগর যারা ছিলেন, তাদের সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে প্রশাসন ও হাজীগঞ্জ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, পিঠা উৎসবে হাজীগঞ্জবাসীর যে সাড়া পেয়েছেন, তাতে তিনি অনুপ্রাণিত। আগামি দিনেও তিনি দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় এ ধরনের আয়োজন অব্যাহৃত রাখবেন বলে জানান।