খন্দকার আরিফ:
হাজীগঞ্জে পূর্ব বিরোধে নারী ও পুরুষের উপর অতর্কিত হামলা অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে হাজীগঞ্জ থানা পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাখরপাড়া গ্রামের হাজী বাড়ি ও মিজি বাড়িতে ঘটেছে।
থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় মিজি বাড়ির নাইম এর স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (৩২) কে ইঙ্গিত করে তারই আপন দেবর দ্বীন ইসলাম (৪০) ও হেনা বেগম (৩৫) অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। তিনি অশ্লীল ভাষার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের টুকরো ও কাঠের আদল দিয়ে মরিয়ম আক্তার এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ওই সময় হামলাকারীরা তার গলায় থাকায় ১০ আনা ওজনের শ্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আহত মরিয়ম আক্তারকে বাড়ির অন্যান্যরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এ ঘটনার দিনেই মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে ২ জনকে অভিযুক্ত করে হাজীগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রভাকর বড়ুয়া।
অপরদিকে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় একই এলাকার নোয়া বাড়ির মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মালেক বাকিলা বাজার থেকে মিশুক গাড়িতে চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। বাখরপাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির রাস্তার উপর দ্বীন ইসলাম পূর্ব থেকে ওঁৎপেথে থেকে মিশুক গাড়ির গতিরোধ করে আ. মালেককে গালমন্দ করে এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি তার উপর আক্রমণ করে। এতে মালেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম পকেটে থাকায় ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আহত আ. মালেক উপজেলা স্বাস্থয় কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। কোন ধরনের মামলা মোকাদ্বমা না করতে অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম হুমকি-ধমকি অনবরত দিয়ে আসছে।
এ ঘটনায় তিনিও দ্বীন ইসলাম একমাত্র আসামী করে হাজীগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিসবাহ উল আলম চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিসবাহ উল আলম চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।