জহিরুল ইসলাম জয়:
হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারন সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, সরকার জনগনের টাকা দিয়ে পদ্মাসেতু উদ্বোধনের নামে ব্যয়বহুল অর্থ খরচ করে তামাশা দেখাচ্ছেন। এর হিসাব একদিন জনগনকে দিতে হবে। শেখ হাসিনা একের পর এক জনগনের সাথে প্রতারনা করে আসছে। গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত আগামি ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনা করতে পারবে না। দায়িত্বশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএনপি আগামি নির্বাচনে জয়লাভ করবে। যার প্রমান হাজীগঞ্জ শাহারাস্তি নির্বাচনে জনগণ বিএনপির প্রার্থীকে বিজয় করে দেখাবে। ইতিমধ্যে জাতীয় মিডিয়া চাঁদপুরের সেলিম চোরার তিন শত কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে সরকার আজ প্রশ্ন বিদ্ধ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারের একজন মন্ত্রী ও তার পরিবার অনিয়মে জড়িত। রাজপথ আগামি দিনে বিএনপির জন্য খোলা, আর তা একমাত্র ছাত্রদলের নেতৃত্বে তা প্রমান করবে। তাই আগামি দিনে সরকারের পতন নিশ্চিতকরে আপনারা উপজেলা বিএনপি এক হয়ে কাজ করার আহবান জানাই।
এ সময় চাঁদপুরের সেলিম চেয়ারম্যান চোরার সাথে নিজ দলের আরেক প্রতারক মানিকের সমালোচনা করে বলেন, তার চুরি, অনিয়ম, দুর্নীতির কারনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ প্রশ্ন বিদ্ধ। তার নেতৃত্বের কোন প্রভাব হাজীগঞ্জ শাহারাস্তি পড়তে দেবো না। তাই সবাই সর্তক থেকে এক হয়ে দলের নির্দেশনা মেনে কাজ করুন।
২৫ জুন শনিবার হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের সোনাইমুড়ী বিএনপির সাধারন সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মোহন চৌধুরী ও সঞ্চলনা করেন সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম পাটোয়ারী।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আনিছুর রহমান কানু পাটওয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ নাফের শাহ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন দুলাল, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. খোরশেদ আলম ভুট্টো।
ওই সময় উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কাজী জসিম উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক মো. হুমায়ন কবির সুমন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. ফয়সাল হোসাইন, সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদারসহ উপজেলা বিএনপির সকল ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।