দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৪৫০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক হন কামাল হোসেন (২৭) নামের এক ব্যক্তি। আটকের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি করা হয়। তখন কামালের চোখেমুখে বিষণ্নতার লেশমাত্র দেখা যায়নি। উল্টো হাসছিলেন। এক সাংবাদিক হাসির কারণ জানতে চাইলে কামালের অকপট উত্তর ‘আমি গাঁজা খাই, অন্য কোনো নেশা করি না। শুধু গাঁজাই খাই। এটা মিথ্যা বলার দরকার নাই। প্রতিদিনই আমাকে গাঁজা খেতে হয়।’
চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের ইছামতি মৌজার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত সোমবার দিবাগত রাতে কামালকে আটক করে চিরিরবন্দর থানার পুলিশ। তিনি উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বরকত আলীর ছেলে। পেশায় কৃষিশ্রমিক। আজ বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আদালতে তোলার আগে থানা চত্বরে কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘এক পুরিয়া গাঁজা কিনতে লাগে ২০ টাকা, দিনে কখনো কখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকার গাঁজা কিনতে হয় আমাকে। বারবার গাঁজা না কিনে, একবারে বেশি পরিমাণে কিনে বাড়িতে রেখে দিই। শেষ হয়ে গেলে আবার কিনি।’
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ বলেন, একই রাতে অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেনসহ নশরতপুর এলাকা থেকে লুৎফর রহমান (৩৩) নামের অপর একজনকে এক কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার কামাল হোসেন প্রসঙ্গে ওসি বলেন, সাধারণত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করলে মন খারাপ থাকে। অপরাধ লুকাতে নানান মিথ্যা তথ্য দেয়। কিন্তু কামাল হোসেন ব্যতিক্রম। কোনো ভয়ডর নেই। হাসতে হাসতে গর্বের সঙ্গে গাঁজা খাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে নিজে গাঁজা সেবনের কথা জানালেও প্রকৃতপক্ষে দুজনই মাদক ব্যবসায়ী।
Error: Contact form not found.