কিছুদিন আগে জেলা পরিষদ আইনটির সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মনে করেন আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের সদস্যপদের ক্ষেত্রে সরকার সমতা ও ন্যায্যতা রক্ষার চেষ্টা করছে।
আবারও সংশোধন করা হচ্ছে জেলা পরিষদ আইন। গত ২২শে নভেম্বর সংশোধিত আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর পর তা পাসের জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে।
সংশোধিত আইনে জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষে করণীয় নির্দিষ্ট করে দেয়া হচ্ছে।
• কোনো জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবার পর সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে, মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা পরিষদকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত, পরিষদের দাপ্তরিক কাজ চালাতে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তারা অফিসিয়াল সদস্য হিসেবে কাজ করবে। তারা কিন্তু স্থায়ী সদস্য না, সমন্বয় সভায়ও তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নির্বাচনের সময় ভোট দিতে পারবে কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভোটাধিকার থাকবে না।
• জেলা পরিষদে সদস্য হবার ক্ষেত্রে দুইরকম ব্যবস্থা আনা হচ্ছে। এতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, পৌরসভার মেয়র, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হবেন। আর প্রতি উপজেলা পরিষদ থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে ১ জন করে প্রতিনিধি সাধারণ সদস্য হবেন। এবং প্রতি ৩ উপজেলা থেকে ১ জন করে নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্য হবেন।
প্রস্তাবিত খসড়ায় জেলা পরিষদের সচিব পদের নাম বদলে নির্বাহী কর্মকর্তা করা হচ্ছে।
সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সরকারের একটা সার্কুলেশন আছে যে প্রত্যেক নাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারবে না যেহেতু সচিবগণ সরকারের একটা পদ। সেহেতু সচিবের নামের পরিবর্তে সেখানে নির্বাহী কর্মকর্তা হবে।
বর্তমানে জেলা পরিষদ চলছে ২০১৬ সালে সংশোধিত আইন দিয়ে।