খন্দকার আরিফ:
হাজীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিনু আক্তারের দায়েরকৃত মামলা বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এমন তথ্য দিয়েছেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ জাহিদুল আজহার। ওই সময় তিনি পৌর পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন।
তিনি তার স্বাক্ষরিত পত্রে বলেন, পৌর ৭.৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার গত বছরের ১৭ নভেম্বর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও কাউন্সিলর কাজী মনিরের বিরুদ্ধে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অসত্য কল্পকাহিনী সাজিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা পেয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সত্য উদঘাটনে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। অভিযোগের স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ গ্রহন এবং সরেজমিন তদন্ত কার্য শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতের বিচারক প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। ধার্য তারিখ (১ মার্চ) দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে বিজ্ঞ আদালত সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিনু আক্তারের দায়েরকৃত অভিযোগটি অসত্য প্রমানিত হওয়া খারিজ করে দেন।
প্যানেল মেয়র-১ জাহিদুল আজহার সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য আরো বলেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিনু আক্তার তার নিজ নামীয় ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন পোস্ট এবং লাইভে এসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও কাউন্সিলর কাজী মনিরের মানহানি ক্ষুন্ন করেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত হয়ে সে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে শৃঙ্খলা পরিপহ্নী কর্মকাণ্ডে হাজীগঞ্জ পৌরসভা এবং মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় পরিষদের পক্ষে এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে সাথে “সত্যের জয় সুনিশ্চিত ” হওয়া মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
ওই সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাইনুদ্দিন মিয়াজী, আলাউদ্দিন, সুমন তপদার, শাহআলম, হাজী কবির কাজী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মমতাজ বেগম, ঝুমু আক্তারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।