অবৈধভাবে শতকোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্বামীর প্রভাবে এই টাকার মালিক হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের নোটিশে। অভিযুক্ত শাম্মী আরা পারভীন কুষ্টিয়া শহরের ৪ নং পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বামী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ। তবে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের দাবি, রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৩০ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাকারিয়ার সই করা নোটিশে স্বামীর রাজনৈতিক ক্ষমতা অপব্যবহার করে শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে পারভীনের বিরুদ্ধে। তার স্বামী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। একই নোটিশে তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ।
মো. জাকারিয়া (উপ-পরিচালক দুদক, কুষ্টিয়া) জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহল ব্যবসা, হাট-বাজার ইজারা এবং অবৈধ অর্জন মিলে ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর ওনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শত কোটির টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য জানাতে নোটিশের কপি পাঠানো হয়েছে জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন দফতরে। তবে এসব অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। তিন বলেন, কে বা কারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসব করেছে। দুদক মামলা করলে তা মোকাবিলা করবো। স্ত্রী শাম্মী আরার বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।