ফাহাদ খাঁন:
ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারনে সকল প্রস্তুতি নেওয়ারপরও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেনা শিক্ষার্থী। উপজেলার দক্ষিণ হর্ণি সৈয়দ তাহেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসার কতৃপক্ষের বিচার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্ণি গ্রামের ওহিদুল ইসলামের মেয়ে মুন্নি আক্তার দক্ষিণ হর্ণি সৈয়দ তাহেরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে টেস্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। গত ২৭ এপ্রিল তার অন্য সহপাঠি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদান করা হলেও তাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। পরদিন ২৮ এপ্রিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে যোগাযোগ করলে রেজিষ্ট্রেশন না হওয়ায় তার প্রবেশপত্র আসেনি বলে জানায় মাদ্রাসা কতৃপক্ষ।
মুন্নি আক্তার জানায়, দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য সে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপের জন্য সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছে। কাগজপত্রসহকারে ফরম ফিলাপের জন্য মাদ্রাসা কতৃপক্ষ তার থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করে। কিন্তু এখন জানাচ্ছে তার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি। তাহলে তারা ফরম ফিলাপ কিভাবে করলো? তাই বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল কাদির’র সাথে কথা বলতে মাদ্রাসায় গিয়ে ও তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাথেযোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মাদ্রাসার গভর্ণিং বর্ডির সভাপতি আজিজুর রহমান জানান, রেজিষ্ট্রেশন থেকে ফরম ফিলাপ পর্যন্ত মাদ্রাসার ৩জন অধ্যক্ষের রদবদল হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত র্প্বূক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখিত বিষয়টি দুঃখ জনক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমুন নেছা বলেন, শেষ মুহুর্তে এঘটনা অবগত হওয়ার কারনে মেয়েটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আপাতত কিছু করার নেই। লিখিত অভিযোগের আলোকে অত্র প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।