মতলব উত্তরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার ছেংগারচর পশুর হাট’সহ উপজেলার
বিভিন্ন বাজারে পশু উঠলেও বেচাকেনা তেমন শুরু হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটে দেশীয় গরু ও ছাগল বিক্রির সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। ক্রেতারা
সে সব পশু তাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দ করে দামদর করছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা দুটি স্থায়ী পশুর
হাটের পাশাপাশি ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আরো ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার রাজুরকান্দি থেকে আসা গরু বিক্রেতা বাচ্চু প্রধান বলেন, বাজারে দুটি গরু
বিক্রির জন্য নিয়ে আসি। বাজারে পর্যাপ্ত ক্রেতা থাকলেও বিক্রি কম হচ্ছে। ক্রেতারা যাচাই-
বাছাই করে কোরবানির জন্য গরু কিনবেন।
ইউপি সদস্য শিবলু মোল্লা বলেন, বাজারে এসেছি কোরবানির জন্য গরু কিনতে। বাজারে
এসে একটি গরু পছন্দ হয়েছে সেটার দাম করেছি এক লাখ টাকা। কিন্তু বিক্রেতা সেই দামে
গরু বিক্রি করবেন না।
২৩ জুন শুক্রবার উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট ছেংগারচর বাজার ছিলো সাপ্তাহিক
পশুর হাটের দিন। এ দিন এ বাজারে সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু
বাজারে মজুদ রয়েছে। ঈদের আরও সপ্তাহ খানেক বাকি থাকলেও পশু বিক্রি হচ্ছে ভালোই। ক্রেতা
বিক্রেতা দর কষাকষির মধ্যে সময় পার করছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দাম
নিয়ে উভয় মোটামুটি খুশি।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, এবার কোরবানীর পশুর হাটে সবগুলো দেশীয় জাতের গরু। এদের মধ্যে
রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের। সকল বিক্রেতা বলছেন আমারা গরুকে কোন ধরনের ঔষধ
খাওয়া হয়নি।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম ঠিক রেখেই বিক্রির চেষ্টা চলছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বলছেন, ঈদের
দুই থেকে তিন দিন আগেই মূলত ভালভাবে বেচা-কেনা শুরু হবে। এবার কোরবানীর পশুর সরবরাহ
বেশি থাকায় দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা গরুকে বিভিন্ন
ভাবে সাজিয়ে বাজারে তুললেও দূরের ব্যবসায়ীরা ট্রাক যোগে প্রচুর সংখ্যক গরু বাজারে
তুলেছেন। বাজারে বিভিন্ন আকারের গরু, খাসি উঠেছে। এদিক প্রতিটি হাট বাজারে
নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে মতলব উত্তর থানার পুলিশ সদস্যরা। তাই নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ক্রেতা ও
বিক্রেতারা পশু বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, হাটে দেশীয়
গরু উঠেছে। এসব গরু কিনতে নানা শ্রেণির ক্রেতারা বাজারে ভিড় করছেন। তবে বেচাকেনা
তেমন হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক বাজারে
রয়েছে এবং চেক পয়েন্টসহ নজরদারিও রয়েছে।