হাজীগঞ্জে দুলা ভাইয়ের (ভগ্নিপতি) সাথে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর বিয়ে হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ জুলাই (সোমবার) উপজেলার বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা গ্রামের মিজি বাড়ীতে এ বিয়ের ঘটনা ঘটে। বিয়ে পিড়িতে বসা সাদিয়া আক্তার নামের শিক্ষার্থী ওই বাড়ির প্রবাসী শাহজালালের মেয়ে। সে প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শেণির শিক্ষার্থী। তার রোল নং- ৪।
পাশ^বর্তী শাহরাস্তি উপজেলার ইছাপুরা মুড়াগা গ্রামের হাজী বাড়ীর মহিবুল ইসলামের সাথে সাদিয়ার বিয়ে হয়। জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১২। বর্তমানে তার বয়স ১০ বছর ৫ মাস ১৬ দিন (২৮ জুলাই পর্যন্ত)। সংবাদকর্মীদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মো. রাশেদুজ্জামান ও সহকারী শিকিা হাসিনা আক্তার। তারা শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের খবর জানতে পেরেছেন।
প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আমাদের ৫ম শ্রেণির এই মেধাবী ছাত্রী (সাদিয়া আক্তার) গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তার বাড়িতে এসে জানতে পারি, সাদিয়ার সাথে তার মৃত বড় বোনের জামাইয়ের (স্বামী) সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি উপজেলা শিা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
সাদিয়া আক্তারের মা শিল্পী বেগম বলেন, আমার বড় মেয়ে কিছুদিন আগে হাজীগঞ্জের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের সময় মারা যায়। তার রেখে যাওয়া শিশু কন্যার লালন পালনের জন্য আমার ২য় মেয়েকে প্রথম মেয়ের জামাই মহিবুল ইসলামের সাথে বিয়ের বিষয়টি পাকাপাকি করে রেখেছি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া যে ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে, তা যদি বিদ্যালয়ের শিকরা নিশ্চিত করে করেন, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।