চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে টাকা
আত্নসাতের অভিযোগ। টাকা না পেয়ে ইউপি
চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও অভিযোগ গ্রহন করেনি
নির্বাহী। জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে
আশ্বাস প্রদান। অভিযোগটি উপজেলার ১৫নং রুপসা
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাউছারুল আমিন
কামরুলের বিরোদ্ধে।
ঘটনার সূত্রে জানাযায়, উপজেলা ফরিদগঞ্জে ১৫নং উত্তর
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কাউছারুল আলম
কামরুলের কাছে বিচার প্রার্থী হিসাবে টাকা জমা
রাখেন ভুক্তভুগি আবু ইউছুব। সেই জামানতের টাকা
ফেরত চাইতে গেলে উল্টো মারধর করার হুমকি দিয়েছেন বলে
অভিযোগে করেন তিনি। টাকা আত্নসাত করার
পাঁয়তারা করছে চেয়াম্যান।
ভুক্তভোগী আবু ইউছুপ লিখিত অভিযোগ ও
মৌখিকভাবে জানান, বাড়ির কাজ চলাকালিন অবস্তায়
ঠিকাদার নুরুল ইসলাম কাছ বন্ধ করে দেয়। সে নাকি
আমার কাছে টাকা পাইবে। পরে সে চেয়ারম্যানের কাছে
অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান হিসাব করে দেখেন কাজ শেষ
করতে পারলে সে আমার কাছে ৫২ হাজার পাবে কিন্তু সে
কাজ বন্ধ করে রাখছে। পরে চেয়ারম্যান আমাকে ৯৫ হাজার
টাকা কাজ শেষ হলে দিতে বলেন। কাজ বাবদ চেয়ারম্যানের
কাছে আমি ৬০ হাজার টাকা জমা করি। চেয়ারম্যান
ঠিকাদার দিয়ে কাজ না করিয়ে টাকা টি আতœসাত
করা চেষ্ঠা করেন। গত ৮ আগষ্ট /২৩ইং আমাকে খবর দিয়ে
নিয়ে তারা অনুগত বাহিনী দিয়ে হুমকীদমকি দিয়েছে।
টাকাতো দেয়নি বরং কোন টু শব্দও করতে পারবনা বলে
হুশিয়ার করে দেয়। এ বিষয় তিনি আরোও জানান,
নির্বাহী কর্মকর্তা কে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি
অভিযোগটি গ্রহণ না করে ফেরৎ দিয়ে বলেন, আমরা
জনপ্রতিনিধিদের বিচার করতে পারবোনা।
ঘটনার সত্যতাস্বীকার করে সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦
মিলন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বিল্লাল
হোসেন ভূঁইয়া ও মোঃ আরিফুর রহমান আজাদ জানান,
টাকা চেয়ারাম্যানের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কেন
চেয়ারম্যন টাকা ফেরত দিচ্ছেনা তা আমরা যানিনা।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসানের বক্তব্য হচ্ছে,
কিসের টাকা? আমি জানিনা । আপনারা এসে তদন্ত করে
দেখেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ
তাছলিমুন্নেছাকে ফোন দিলে তিনি মোবাই ফোন
রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসানকে অভিযোগটি
গ্রহণ না করার কথা জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে
জানিয়েছেন।