নিউজ ডেস্ক :
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। যেভাবে নারীরা তাদের মেধা, শ্রম, সাহসিকতা, শিক্ষা ও নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে সেই একইভাবে আমাদের যুব সমাজের উচিত হাতে হাত মিলিয়ে তাদের সাহায্য সহযোগিতার দারা দেশকে চরম উন্নতির পথে ধাবিত করা।
গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে যাতে গ্রামীণ নারী-পুরুষ অপেক্ষাকৃত ভালো জীবনযাপন করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দেব।’ আরেকটি কথা আছে, একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা দেওয়া। আর একজন নারীকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন। প্রচার মাধ্যমগুলোতে নারীর নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ হতে হবে। নারী কোনো পণ্য নয়।
নারীশিক্ষা ও নারীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। নারীকে তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। নারীর কাজকে ছোট করে দেখা চলবে না। নারীর ক্ষমতায়নে নারীকেই সবার প্রথম এগিয়ে আসতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে, নিজের উন্নয়ন নিজে না ভাবলে ক্ষমতায়ন অসম্ভব। তাই নারীদের যাবতীয় অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। পরিশেষে আমাদের উচিত কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণী কাজে লাগিয়ে হাতে হাতে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম। আজ ২০ এপ্রিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জাতীয় মহিলা সংস্থার আওতাধীন উপজেলা তথ্যসেবা কার্যালের উদ্যোগে তথ্য কেন্দ্র হাজীগঞ্জ এর ত্রৈমাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন (পি আই সি)কমিটির ২ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় তথ্যসেবা কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তারের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমিটির হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা আক্তার, গণমাধ্যম কর্মী মুন্সী মোহাম্মদ মনির, সহকারী প্রোগ্রামার আইসিটি অধিদপ্তরের মোশাররফ হোসাইন, উদ্যোক্তা শাহনাজ বেগম, মিনা সদস্য নাজনীন আক্তার, মতিয়া সুলতানা, শারমিন আক্তার, শিরিনা আক্তার।
সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের জন্য laalsabuj.com এ রেজিষ্ট্রেশন করে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।