হাজীগঞ্জে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাছরিন বেগম (২৫) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামের হোসেন উদ্দিন হাজী বাড়ি থেকে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই বাড়ির আবুল বাসারের স্ত্রী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় টোরাগড় গ্রামের হোসেন উদ্দিন হাজী বাড়ির আবুল বাসার আবু মিস্ত্রীর বসতঘরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন ও মো. নুরুল আলম। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবু মিস্ত্রি পালিয়ে যান।
পরে পুলিশ আবু মিস্ত্রির (৩২) বসতঘর তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং তার স্ত্রী নাছরিন বেগমকে আটক করে। তিনি পুলিশকে জানান, উপজেলার সবচে বড় মাদক কারবারি শওকতের এই ইয়াবা ট্যাবেলট। তার স্বামী আবু মিস্ত্রির কাছে গতকাল রাতে ইয়াবা ট্যাবলেগুলো দিয়েছে, তাদের ঘরে রাখার জন্য।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার লোকজন জানান, শওকত হাজীগঞ্জের সবচে বড় ইয়াবা ডিলার। বাড়ি বা এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেনা। কারণ হিসাবে তারা বলেন, শওকতের পক্ষে প্রভাবশালী লোকজন এসে তাদেরকে মারধর ও হুমকি-ধমকি দেয় এবং মামলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর দুই আসামি আবুল বাসার ওরফে আবু মিস্ত্রি ও শওকত পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, শওকত ওই এলাকার চিহিৃত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, আটক নারী নাছরিন বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, শওকত তার স্বামীর (আবু মিস্ত্রি) কাছে ইয়াবাগুলো রাখতে দিয়েছে, তাই তার স্বামী তাদের ঘরে এনে রেখেছেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় তিন জনকে আসামি করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে আটক একজনকে আগামিকাল (মঙ্গলবার) আদালতে সোপর্দ করা হবে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো ট্রলারেন্স। তাই পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। এ সময় তিনি তথ্য দাতার নাম ও পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।