দেশব্যাপী বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দ্বিতীয় দফার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও হাজীগঞ্জে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিকের নেতৃত্বে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কে কিছুক্ষণ পরপর টহল দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সদস্যরা (বিজিবি)।
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার দিনব্যাপী দায়িত্ব পালন করেছেন। এই অবরোধকে ঘিরে কোনো প্রকার নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেটি মাথায় রেখে সড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দিনব্যাপী মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের সদস্যরা। তাদেরকে তদারকিসহ টহলে ছিলেন, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি অবরোধের প্রতিবাদ জানিয়ে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন এবং পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন।
এ দিকে গত দুই দিনে সড়ক, বাজারসহ উপজেলার কোথাও অবরোধের সপক্ষে অবস্থান নিতে বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। এই দুই দিনে দূরপাল্লার বাস ছাড়া মালবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের ছোট যানবাহন চলাচল করেছে এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ খোলা ছিলো, সকল শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, জনগণের জান-মাল রক্ষার্থে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত স্বাভাবিক ও সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।