চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গ্রামীণ সড়ক গুলুতে প্রতিদিন যানজটের এ অবস্থা দেখলে মনে হবে দেখার কেউ নেই। বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক যেন পথচারী ও জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনে সামনে এগুবার বা ডানে-বামে যাওয়ার উপায় নেই। ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটাও থমকে যায় যানজটে পড়ে।
সাধারণ জনগণ এ দুটি বাহনে যাতায়াতের সুবিধা পেলেও প্রতিদিনের যানজট যন্ত্রণার এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চায়। এই নাগরিক দুর্ভোগ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
একদিকে যেমন যানজট অন্যদিকে রয়েছে ফুটপাত দখল। উপজেলার বিভিন্ন বাজারর প্রধান সড়কের ফুটপাত দখল হয়ে আছে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন অল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা। হাট বাজার সংলগ্ন সড়কের দু’পাশ দখলের কারণে পথচারীরা ঠিকমত হাঁটতেও পারছেন না।
নাগরিকগন একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে স্বল্প ভাড়ায় দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার কারণে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক ব্যবহার করেন। কিন্তু এসব বাহনের চালকরা সড়কে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করায় প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয় সীমাহীন যানজট। আর প্রতিদিনের যানজটের দুর্ভোগ এখন নাগরিকগনের নিত্যসঙ্গী।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার পাটোয়ারী বাবাজারে রাস্তা পার হওয়ার জন্য প্রায় পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে আছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী এক পথচারী।
তিনি বলেন, রাস্তা পার হবো বলে প্রায় পাঁচ মিনিট থেকে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু বেপরোয়া অটোরিকশার কারণে পার হতে পারছি না। আর ফুটপাত দখল করে বসে আছে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। সেদিক দিয়ে যাওয়া কঠিন।
পাটওয়ারী বাজারের এই সড়কে দেখা মিলে রাস্তা দখল করে যাত্রী ওঠা-নামার দৃশ্য। এতে ট্রাকসহ অন্য যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। এসব গাড়ির চালকরা জানান, ছোট গাড়ির কারণে অসুবিধায় পড়তে হয়। যাত্রী ওঠা-নামার সময় তারা রাস্তা দখল করে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এজন্য অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। তখন দায় আমাদের ওপরে এসে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো তিন চাকার যানে ভিড়। অনেকে অভিযোগ করেন, তারা কোন কিছুর নিয়ম না মেনেই যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে লোক ওঠানামা করায়। এতে অনেক সময় পিছন থেকে দ্রুতগতির গাড়ি আসলে দুর্ঘটনার শিকারও হয়।
এবিষয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মনির হোসেন জানান, দিনশেষে মালিককে জমার টাকা দিতে হয়। এখন সারাদিন অটো চালিয়েও এই টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে । তাই রাস্তায় লোক ডেকে ডেকে তুলতে হয়।
প্রবিন এক ব্যক্তি বলেন এখন অটোরিকশার কোন হিসাব নাই। যেখান-সেখান থেকে দুই-তিনটা যাত্রী নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ছে। মনে হচ্ছে, যাত্রীর চেয়ে অটোরিকশার সংখ্যাই বেশি। এসব অটোরিকশা চালকদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। গাড়ি চালানোর তেমন দক্ষতা বা অভিজ্ঞতাও নেই। মাঝেমধ্যে প্রায় অটোরিকশা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তারা আর্থিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলো বিষয় সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।