চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চোর সন্ধেহে এক কিশোরকে বেদড়ক মারধর করেছে
১৫/২০জন লোক। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে কিশোরটি
হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় রয়েছে। উক্ত বিষয়ে থানায় মামলা
প্রক্রিয়াদিন রয়েছে বলে জানাযায়। ঘটনাটি উপজেলার ১০নং
গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের গোবিন্ধপুর গ্রামে।
ঘটনার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ১০ নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের
গোবিন্ধপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে রাকিব হোসেন
(১৪) গত ১২ নভেম্বর রবিবার রাতে এশার নামাজের পরে স্থানীয় ১৫/২০জন
ছেলে মিলে রাতের আধাঁরে গরু চুরি করতে গিয়েছে অভিযোগ তুলে
গাছের সাথে বেঁধে বেদড়ক মারধর করে। এসময় রাকিবের হাত পা বেঁধে
রাখে যাতে করে সে পালিয়ে যেতে না পারে। তিন দপায় মারধর করা পরে
তাকে বেঁধে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান । এসময় থানা পুলিশ খবর
পেয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করান। রাকিব হাসপাতালে এখন চিকিৎসাদিন অবস্থায় রয়েছে। থানায়
মামলা প্রক্রিয়াদিন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদ পাটওয়ারী ও বিল্লাল খাঁন বলেন, আমরা নামাজ
পড়ে দোকনে কাছে বসে ছিলাম। এমন সময় রোকন ও গাপ্পার সহকারে
আমাদের কাছে জিঞ্জাসা করেন রাকিব কোথায়। আমরা বলেছি সামনের
দিকে আছে তারা দৌড়ে গিয়ে রাকিবকে ধরে পেলে এবং বেদড়ক মারধর
করে। এসময় চতুরদিক থেকে অনেক লোকজন এসে তাকে মারধর করতে
থাকে। এমন মারধর করেছে আমরা মনে করেছি সে বুজি মারাগেছে
তাই আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাই। অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা
গরু চুরি করতে দেখি নাই। কিন্তু তারা বলেছে সে নাকি গরু চুরি
করতে গেছে।
গরুর খামারের মালিক শফিকুর রহমান বলেন, আমি নামাজ পড়ে বাড়িতে
যাওয়ার সময় দেখি আমার গরুর ঘরের সামনের দরজা আমার মতন বাঁধা
নাই। আমি বিতরে লাইট মেরে দেখি রাকিব উলঙ্গ অবস্থায় আমার গরুর
পিচনে দাঁড়িয়ে আছে। সে আমাকে দেখে পিচন দিক দিয়ে দোড়ে
পালিয়ে যায়। তার পরনের কাপড় আমার গরুর সামনে রাখা ছিল। আমি
চোর চোর বলে চিৎকার করি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে খুঁজে বের করে
মারধর করেন।
রাকিবের পিতা আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে চোর সন্দেহ করে তারা
বেদড়ক মারধর করেছে। এখন সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এর
বিচার চাই। আমার ছেলে জদি আপরাদ করে থাকে তা হলে দেশে আইন
অনুযাই যে বিচার হয় তা মাতা পেতে নেব। কিন্তু বিনা দোষে কেন
আমার ছেলেকে মারধর করেছে। অপরাদ করলে থানা পুলিশ রয়েছে। তাকে
মারধর করলো কেন?
এস আই মাহাবুব বলেন, আমরা ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনান্থল থেকে গিয়ে
ছেলেটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেই। গরু চুরির ঘটনায়
নাকি তাকে মারধরে করেছে।