মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের একটি বিশেষ আদালত। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি মামলা বিচারাধীন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৭ এপ্রিল) মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আদালতের ডাকা কিছুক্ষণের মধ্যেই বিচারক এই রায় দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ছয় লাখ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ এবং ১১ দশমিক ৪ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ঘুস নেওয়ার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তিনি গত অক্টোবরে সু চির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন যে তিনি তাকে ‘তার সমর্থনের বিনিময়ে’ ঘুস দিয়েছিলেন।
স্টেট এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাউন্সিলের প্রধান মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয় সময় বেলা ১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানা গেছে।
দেশটিতে নোবেল বিজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা বিচারাধীন। এসব মামালার রায় হলে তার ১৯০ বছরের মতো কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সু চি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী।