গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব বিইআরসি থেকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, তখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। তাই গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১৭ পয়সা কমানোর প্রস্তাব করে সংস্থাটি।
এছাড়া দাম বাড়ানোর পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ খরচ সমন্বয় করে গ্যাসের ভর্তুকি কমানো সম্ভব বলে মনে করছে ক্যাব। বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলন এসব বিষয় তুলে ধরে সংস্থাটি।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও ভর্তুকির চাপ সামলাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে গত মার্চে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দাম বাড়ানোর পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া গণশুনানিতে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। সেসময় বিইআরসির কারিগরি কমিটি ২০ ভাগ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে।
লিখিত বক্তব্যে ক্যাব বলেছে, দেশে উৎপাদন করে এক টাকায় গ্যাস পাওয়া সম্ভব। তা না করে খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে ৮৩ টাকা ৪৭ পয়সা মূল্যহারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হবে, আর গ্যাস কোম্পানির ঘাটতি মোকাবিলায় ভোক্তার কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হবে—এতে ক্যাবের আপত্তি আছে। লুণ্ঠনমূলক ব্যয়বৃদ্ধি না করে মুনাফা সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
সরকারি ভর্তুকি ১০ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা বহাল রাখা এবং আগের উদ্বৃত্ত প্রায় ২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা সমন্বয় করে গ্যাসের দাম ১৭ পয়সা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ক্যাব। গ্যাস তছরুপ প্রতিরোধে আবাসিক গ্রাহকদের ২ চুলায় মাসে ৭৭ ঘনমিটারের পরিবর্তে ৪০ ঘনমিটার ব্যবহার ধরে বিল নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে তারা।
সাশ্রয়ী দামে গ্যাস পেতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ উত্তোলন ও মজুত বাড়ানোর তাগিদ বিশ্লেষকদের। এসময় গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১৭ পয়সা কমানোর প্রস্তাব করে ক্যাব। তবে গ্যাস চুরি প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।