চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর পৌর এলাকার কাশিমপুর বাস স্ট্যান্ড
সংলগ্ন দিঘির পাড় থেকে শরীফ খান (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে
পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ওই এলাকার দেওয়ানজি বাড়ীর দিঘির পাড়ে তার
মৃতদেহ পাওয়া যায়। শরীফ খান পাশ^বর্তী কচুয়া উপজেলার পৌরসভাধীন এলাকার
কোয়া গ্রামের আব্দুল আলী খানের ছেলে। শরীফ বিবাহিত জীবনে দুই পুত্র সন্তানের
জনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানজি বাড়ীর দিঘির পাড়ে সকালে এক ব্যাক্তির
মরদেহ দেখে পেয়ে স্থানীয় লোকজনসহ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে
এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শরীফের গ্রামের প্রতিবেশীরা
জানিয়েছেন, তিনি পিকআপ গাড়ী চালাতেন। গত তিন বছর পূর্বে সড়ক
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে একটি পা হারান। এরপর থেকে সে মাদক ব্যবসায়ী ও
মাদকসেবীদের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তাদের ধারণা মাদকেই তার মৃত্যুর কারন।
নিহত শরীফের বড় ভাই ফারুক খান বলেন, শরীফ স্ত্রীকে নিয়ে পাশ^বর্তী
হাজীগঞ্জ উপজেলায় বসবাস করতো। গত সোমবার বিকালে আমাদের বাড়িতে
আসে, আমাদের সাথে দেখা ও কথা হয়। শরীফ ফারুককে বলে অনেকের কাছে টাকা
পাওনা আছি, সেই টাকা নিতে এসেছি। তারপর বাড়ির সকলের সাথে দেখা করে
চলে যায়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিএনজি ড্রাইভারের মাধ্যমে খবর পেলাম
কাশিমপুর দিঘির পাড়ে একটি লাশ পড়ে রয়েছে। লাশটি আমার ভাই শরীফের মতো
দেখতে। খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি লাশটি আমার ভাই শরীফের। তার গলায় কালো
দাগ, হাতে পায়ে ও শরীরে মাটি লেগে আছে।
নিহত শরীফের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বলেন, গত সোমবার দুপুরে শরীফ বলে
বাড়িতে যাচ্ছি এইবলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বাড়ি থেকে সকালে খবর পাই
আমার স্বামীকে মেরে কারা যেন রাস্তায় পাশে ফেলে রেখেছে। খবর শুনে বাড়িতে এসে
কাশিমপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি আমার স্বামীর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
আমি আমার স্বামীর হত্যকারীদের বিচার চাই।
কচুয়া থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত শরীফের নামে ৫টি মামলা রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কচুয়া থানায় ৩টি চুরি ও ডাকাতি মামলা ১টি এবং
হাজীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১টি মামলা রয়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা জানান, খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। যুবকের মৃত্যুর কারন এখন
পর্যন্ত জানা যায়নি। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। থানায়
একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে তার মৃতদেহ চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা
যাবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে।