নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি এলাকায় কাপড় পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে মাইসা নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে মোসাঃ মাইসা (২০) নামের এক বিবাহিত মেয়ে তার বাবার বাড়ীতে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে বলে জানা যায়। মেয়ের মা কহিনুর জলকুড়ি কড়ইতলা সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। নিহত মাইসা মৃত মোঃ বাবু ও প্রবাসী কহিনুর আক্তার বেবীর মেয়ে। মেয়ের স্বামী নাম মোঃ সাগর মিয়া (২৭) মোঃ খবির উদ্দিনের ছেলে।
পরিবারের সদ্যরা জানায়, মেয়েটি বিবাহিত দুই বছরে তার মায়ের বাড়ী তেমন বেড়াতে আসতো না। তবে ঐ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের বাড়ী এসে তার কাপড়ে পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেক সময় অতিক্রম করলে ঘরের লোকজন জানলা দিয়ে দেখতে পায় সে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছে। এরপর তারা আত্নীয়স্বজন সংঙ্গে সংঙ্গে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্দার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলের বাবা মোঃ খবির উদ্দিন বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় সাগর ও মাইসার। এরপর সুখে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো। মেয়ার মা বিদেশ থেকে এসে মেয়ে তার স্বামীর থেকে আলাদা করার চাপ দেয়। ঘটনার দিন মাইসা প্রথমে তার নানীর বাসায় যায় এবং পরে জালকুড়ি কড়াইতলা এলাকায় মা কহিনূরের বাসায় গিয়ে নাকি আত্ম হত্যা করে। মেয়ের মারা যাওয়ার খবর তারা আমাদেরকে দেয় পরের দিন দুপুরে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মমার্হত হয়ে যাই। এবং আমার পরিবার ও ছেলে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এখন এই ঘটনা নিয়ে মেয়ের মা আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে হয়রানী করছে। আমরা পুলিশের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এদিকে নিহত মাইসরা খালা ইতি জানায়, ঘটনার দিন রার সাড়ে ৮ টার দিকে আমার বোনের জালকুড়ি এলাকার বাসায় আসে এবং কিছুক্ষন পর কাপড় পাল্টানোর কথা বলে রুমে ঢোকে। অনেকক্ষন হয়ে গেলেও সে ঘর থেকে বের না হওয়ায় জানালা দিয়ে দেখা যায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তবে তারা স্বামীর নির্যাতনের কারনে মেয়ে বাসায় এসে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) হুমায়ুন-৩ জানান, আত্মহত্যার সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে পেলে আমরা বুঝতে পারব এই আত্নহত্যার কারন জানা যাবে।