চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের কোহিনুর আক্তার (৩৩)।
আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ভাড়াটিয়া হয়ে পুরুষদের নামে ধর্ষণ মামলা
করাই তার পেশা। এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধর্ষণ মামলার বাদী কোহিনুর। মামলায়
তিনি অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের স্বামী দাবী করে যৌতুক মামলা করেন। তার এমন মিথ্যা
ধর্ষণ মামলার শিকার একই উপজেলার রহিমানগর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে
নাজির উল্লাহ স্বপন। এই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন শ্রীঘরে কোহিনুর।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে কচুয়া থানা পুলিশ কোহিনুর আক্তারকে চাঁদপুর
আদালতে পাঠায়। এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পালগিরি উত্তর পাড়া
বাড়ী থেকে কোহিনুরকে গ্রেফতার করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু
কুমার।
এসআই মিন্টু কুমার জানান, তথ্য নিয়ে জানতে পারি কোহিনুর একজন
যৌন কর্মী। তিনি নাজির উল্লাহ স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই
মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খারিজ করেন এবং বাদী কোহিনুরের
বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত কচুয়া থানাকে
অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহন করার নির্দেশ দেন। সে আলোকে মামলাটি
থানায় গ্রহন এবং নামীয় আসামী কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বাদী নাজির উল্লাহ স্বপন বলেন, আমার আপন ভাই বুলন এর সাথে
সম্পত্তিগত বিরোধ আছে। ওই বিরোধকে আমার ভাই কাজে লাগানোর জন্য যৌন
কর্মী কোহিনুর আক্তারকে দিয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে
ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় আমি ৩ মাস কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হই। এরই
মধ্যে আদালত আমার ডিএনএ টেস্ট করে ধর্ষণের আলামত পায়নি। যার ফলে চলতি
বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করে। এরপর আমি নিজে তার বিরুদ্ধে একই
আদালতে চলতি মাসের ৪ তারিখে ১৭ ধারায় অভিযোগ করি। তার এই মামলায় আমি
আর্থিক, মানসিকভাবে হয়রানি ও সম্মান হানি হয়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে
অনেক পুরুষ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কোহিনুর আক্তার নিজের স্বামী দাবী করে এই
পর্যন্ত ঢাকা, কচুয়া ও শাহরাস্তির ৩ ব্যাক্তির নামে মামলা দায়ের করে। গতকাল ১৫
মার্চ গ্রেফতারের পর সন্ধ্যায় শাহরাস্তির ব্যবসায়ী প্রদীপ সরকার নামে ব্যাক্তি
থানায় এসে তার স্বামী দাবী করেন। পরে এসআই মিন্টু কুমার তাকে বিয়ের
কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বললে তিনি আর আসেননি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন,
আদালতের নির্দেশে আমরা নাজিল উল্লাহ স্বপনের মামলাটি এফআইআরভুক্ত করি। ওই
মামলায় গতকাল কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ দুপুরে তাকে চাঁদপুর
আদালতে পাঠানো হয়েছে।