পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষবরণের দিনে হাজীগঞ্জে কর্মব্যস্ত সময় পার করলেন, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। রোববার (১৪ এপ্রিল) তিনি অসুস্থ রোগী, অসহায় পরিবার, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ও আত্মহননকারী কিশোরির পরিবার, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এছাড়াও রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত কচুয়ার এক নারীর কুলখানিতে অংশগ্রহণ করেন মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। এদিন তিনি হাজীগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুনকে দেখতে যান এবং তার ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এরপর উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা শেখের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে ভস্মিভূত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদেরকে সরকারি, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে সহযোগীতার আশ^াস দেন। একই সাথে প্রয়োজনীয় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেন।
পরে তিনি একই ইউনিয়নের মেডিকেলের শিক্ষার্থী (এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ার) পান্না আক্তারের বাড়িতে যান এবং পান্না ও তার বাবা-মায়ের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় তিনি পান্না আক্তারকে সহযোগীতা অব্যাহৃত রাখার বিষয়ে আশ^ত্ব করেন মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। সেখান থেকে তিনি হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে (পোড়া বাড়ি) যান।
ওই বাড়িতে আত্মহননকারী জান্নাতের বাবা ও মায়ের সাথে কথা বলেন এবং নিহত জান্নাতের বাবা, মা ও ছোট বোনের থাকার জন্য তাদের বসতঘরটি নতুন করে নির্মাণসহ জান্নাতের বাবা ও মাকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও তার ছোট বোন জ্যোতির পড়ালেখার নিশ্চিত করার জন্য ইউএনও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
একই সময়ে ওই গ্রামের জালাল উদ্দিন বেপারী বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে নিহত শিশু আইমানের পরিবারকে সান্ত্বণা ও সমবেদনা জানাতে যান মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। এসময় তিনি শিশুটির পরিবার ও স্বজনদের সাথে কথা বলেন। একই দিন তিনি কচুয়া উপজেলার কালচোঁ গ্রামের একটি কুলখানিতে অংশগ্রহণ করেন। যার কুলখানি হয়েছিল, নিহত ওই নারীর চিকিৎসার জন্য তিনি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
দিনব্যাপী সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সাথে ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ মো. সেলিম, বাবুল পাটওয়ারী, হুমায়ুন কবির লিটন, এম.এ হাসেম, আহসান হাবিব, হাবিবুর রহমান লিটনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান সুমনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।