মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
সারাদেশে মতো হাজীগঞ্জেও যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মঙ্গলবার (৩ মে) উপজেলার সকল মসজিদ ও ঈদগাহ গুলোতে ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে।
মসজিদ ও ঈদগাহের পেশ ইমাম ও খতিবরা ঈদ জামাত পূর্ব বয়ানে পবিত্র কোরআন মাজিদ ও হাদিসের আলোকে মাহে রমজান এবং ৬ রোজা ও পরবর্তী ১১ মাসের আমল বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া ঈদের আনন্দকে কিছুটা মলিন করলেও পরবর্তীতে তা থেমে যায়। তবে বৃষ্টির আগেই মসজিদ ও ঈদগাহগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়।
এছাড়া মোনাজাতে সব উম্মতে মোহাম্মদির জন্য গুনাহ মাফ চাওয়া হয়েছে। সব মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব থেকে মুক্তির দোয়া করা হয়েছে। যে কোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
নামাজ শেষে সবাই কোলাকুলিতে মেতে ওঠেন। করোনার পর এবার কোলাকুলি এবং হাতে হাত মেলাতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মুসল্লিরা। তারা জানিয়েছেন, ঈদের নামাজের পর প্রধান আনন্দ কোলাকুলিতেই।
এবার সবার সঙ্গে সুন্দর মতো ঈদ উদযাপন করতে পেরে মুসুল্লীরা আনন্দিত। এতে করে তারা মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় এবং নিজ নিজ মনের বাসনা পূরণে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও হাজীগঞ্জ ঐতিহসাকি বড় মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল ৭ টায়। যার ইমামতি করবেন, মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
সকাল সাড়ে ৮ টায় দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করেন, মসজিদের সহকারী ইমাম মুফতি আবু সাঈদ এবং সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় জামাতের ইমামতি করেন, মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. আনাছ।
অপর দিকে আলীগঞ্জ হযরত মাদ্দাহ্ খাঁ (রহ.) জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতের ইমামতি করেন, মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি ফজলুল কাদের বাগদাদী।
এরপর সকাল ৯টা অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করেন মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মো. মামুনুল ইসলাম।