মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রার্থী গাজী মুক্তার
হোসেনের কর্মীদের উপর হামলা মারধর ও জিম্মি করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ
করা হয়েছে। ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ মানিকের কর্মী ৬নং কলাকান্দা
ইউপি চেয়ারম্যান ছোবাহান সরকার শুভা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এমনই
অভিযোগ করেছেন হাজী মুক্তার হোসেন। তিনি ২৪ এপ্রিল জেলা নির্বাচন
কর্মকর্তা ও রিটার্ণিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেসেন দপ্তরে এ
অভিযোগ করেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রার্থী গাজী মুক্তার হোসেনের
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের
প্রথম ধাপের মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া
হয়েছে। আনারস প্রতিক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারনায় নিয়োজিত কর্মী
রাকিব, ছায়েম, মিলন, হাছান, ছিটু, সুমন, শাকিব, রফিক, হোসেন, নাফিজ,
ফরহাদসহ ২০-২৫জন নির্বাচনী প্রচারনা কাজ শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে সন্ধ্যায়
দশানী বেরিবাঁধে অবস্থিত ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ মানিক এর কর্মী
৬নং কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান (মোঃ ছোবহান সরকার সুভা) তার
অফিসের সামনে গেলে, আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা ছোবহান সরকার সুভাসহ
আরো ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসীরা বাঁশের লাঠি, কাঠের রুয়া ও লাঠিসোটা নিয়া
আক্রমন করে এলোপাথারি পিটাইয়া আনারসের কর্মীদের জখম করে এবং কয়েকজন
কর্মীকে তাহার অফিসে জিম্মি করিয়া রাখে এবং অনেক কর্মী আহত অবস্থায়
বর্তমানে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন আছে।
সোবহান সরকার রাতেই তাদেরকে মারধর করে থানা পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের
পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার আটককৃত কর্মীদের থানা থেকে মোচলেখা দিয়ে
ছাড়িয়ে আনা হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপার গাজী মুক্তার হোসেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন
অফিসার, চাঁদপুর ও রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী
কমিশনার (ভূমি), থানার অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার,
প্রেসক্লাব বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
গাজী মুক্তার হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় বাঁধা দেয়া ও
আমার কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।