শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, কমলাপুর, গাবতলী, মহাখালী ও সদরঘাট টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র।
অনেকেই পরিবার নিয়ে ফিরছে। আবার অনেককে পরিবার রেখে চাকরির তাগিদে একাই আসতে দেখা গেছে।
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে আমিনুল ইহসান সবুজ (একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী জেনারেল ম্যানোজার) বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেলে ঢাকায় আসতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু কর্মের প্রয়োজনে ঢাকায় চলে আসলাম।
একটি দূতাবাসে কাজ করেন মোরসালিন আহম্মদ প্রিন্স। গোপালগঞ্জের মকসুদপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ঈদ শেষে আজই ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, আমরা অনেকেই ঢাকায় জীবিকার প্রয়োজনে থাকি। কর্মজীবনে চাইলেও মনকে প্রধান্য দেওয়া যায় না। অল্প সময়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে থাকতে পারা অনেক আনন্দের।
ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালের দোলা পরিবহনের ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ঈদ শেষে ফিরে আসা যাত্রীদের যে হার দেখা যাচ্ছে তা বেশি না। আজ শুক্রবার ও কাল শনিবার ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়বে। প্রতি বছরই ঈদের একদিন পর বা দুদিন পরও অনেকে ঢাকা ছাড়েন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
খুলনা থেকে ঢাকায় আসা এহসান করিম বলেন, এবার ঈদযাত্রায় ভোগান্তি অনেকটাই কম হয়েছে। গত রোববার স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আজ চলে আসলাম। সড়কে যানজট নেই।
পুলিশ জানায়, ঈদযাত্রায় মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে কয়েক দিন ধরে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে ভোগান্তি নেই এবার।