চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে খোলা ট্রাকে বালু বহন করায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ এলাকাবাসির।
ভুক্তভোগি হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন,সিএনজি চালক সবুজ হোসেন,পথচারী জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে বলেন,বালু মহলের বালুবাহী একটি ট্রাকেও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে বালু বহন করা হয় না । ট্রাক ও ট্রলিতে বালু বুঝাই করে নিয়ে যাবার সময় বালুর উপর কোনো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে না দেওয়ায় বালু উড়ে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চোখে মুখে বালি পড়ছে। এতে তারা যন্ত্রণা ভোগার পাশাপাশি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়াও হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত রিকশা,অটোরিকশা,সিএনজি,ভ্যানগাড়ি চলাচল করছে। ট্রাক জটের কারণে বিভিন্ন মোড়ে যানজট হওয়ায় পথচারীদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অসাবধানতা ও অদক্ষ চালকের বেপরোয়া ট্রাক ও ট্রলি চালানোর ফলে প্রায়শই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে জান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।
হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডের মুদি দোকানি কবির হোসেন ও হোটেল ব্যবসায়ী মোফাজ্জল জানান,বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পান না, ত্রিপল বা ঢাকনা ছাড়া বালু বহন করায় বালু কনা গুলো বাতাসে উড়ে এসে হোটেলের খাবারে পরার কারনে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি ।
এ সময় জানতে চাইলে চালক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘আমরা তো বহুদিন ধরে এভাবেই খোলা গাড়িতে করে বালু-মাটি আনা–নেওয়া করি। চলন্ত পথে মাঝেমধ্যে পথচারীদের কিছু সমস্যা হলেও বড় ধরনের সমস্যা হয়নি। এ ছাড়া কেউ তো কখনো বাধা দেয়নি বা বারণও করেনি। তবে হ্যাঁ, বালু কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলে হয়তো এ সমস্যা হতো না।’
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন,যে পয়েন্টগুলো থেকে ট্রাক ও ট্রলি বালু ভর্তি করে সেই পয়েন্টগুলোতে গিয়ে বালু বহনকারী ট্রাক ও ট্রলি ত্রিপল ব্যবহার না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।