হাজীগঞ্জ ব্যুরো :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে হামলা, দেয়াল ভাংচুর ও সীমানা পিলার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, ওই বাড়ির মৃত আব্দুল মজিদ সর্দারের ছেলে আব্দুল হক সর্দার। তিনি একই বাড়ির মৃত হাজী আলাউদ্দিনের ছেলে মাওলানা মাহবুব সর্দারের বিরুদ্ধে এ হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ আনেন।
আব্দুল হক সর্দার বলেন, গত বুধবার (৪ মে) দুই পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় শালিসদারগন সম্পত্তি (ভূমি) পরিমাপ ও নির্ধারণ করে চিটা (কাগজপত্র) ও সীমানা পিলার দেন। যা আমরা দুই পক্ষ মেনে নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করি।
পরবর্তীতে শুক্রবার দিবাগত রাতে মাওলানা মাহবুব সর্দার উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমার নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ভাংচুর করে সবগুলো সীমানা পিলার তুলে ফেলে দেয়। বিষয়টি সকল শালিসদারদের জানাই।
এরপর শনিবার সকালে আমার শ্যালক ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই আমিনুল হক সর্দার বিষয়টি জানতে মাওলানা মাহবুব সর্দারকে জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় সে কোদাল নিয়ে তার উপর অর্তকিত হামলা করেন মাওলানা মাহবুব সর্দার।
হামলার শিকার আমিনুল হক সর্দার জানান, মাওলানা মাহবুব শিবিরের রাজনীতি করে। যার ফলে সে কথায় কথায় মানুষকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারতে আসে। আজকে সে কোদাল দিয়ে আমাকে মারতে আসে। এর আগেও এলাকার আলফাজ উদ্দিন বেপারী ও খোকা সর্দারসহ কয়েকজনকে তেড়ে আসে।
তিনি বলেন, সে ঢাকায় একটি মসজিদের মোয়াজ্জ্বিনি (সহকারী ইমাম) করে কত টাকা বেতন পায়। অথচ সে গত কয়েক বছরে কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছে। এলাকার মানুষকে টাকার গরম দেখায়। কোথা থেকে এলো তার এত টাকা..?
এ বিষয়ে মাওলানা মাহবুব সর্দারের বক্তব্যে নেওয়ার জন্য বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি এবং পরে ফোন ব্যাক করেন নি।
তবে কথা হয় তার পক্ষের শালিসদার আব্দুর রহিম সর্দারের সাথে। তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পূণরায় সীমানা পিলার স্থাপনের জন্য আব্দুল হককে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, শুনেছি তারা উভয় পক্ষ সম্পত্তি (ভূমি) মাপঝোঁক করেছেন। কিন্তু হামলা বা ভাংচুরের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তারাও কেউ আমাকে কিছু বলেনি।