আনলাইন ডেস্ক ||
আগামী ডিসেম্বরেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আয়োজনে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার (৭ মে) রাতে গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে বেরিয়ে দলের সধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ও সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
সারা দেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান জোরদার করা এবং দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়েও বৈঠকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ওই বৈঠকে শুরু হয়।
সম্মেলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডিসেম্বরে আমরা মনে করছি। যে কোনো সময়ে…নেত্রী যখন তারিখ দেবে সেভাবেই হবে। এখন থেকেই গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র আপডেট করার জন্য, ইশতেহার তৈরির জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।’
মেয়াদোত্তীর্ন কমিট্গিুলোর সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বিদ্রোহী, পদে আছে সেসব জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে মেয়াদোত্তীর্ন সম্মেলনের কাজ সমাপ্ত করতে হবে।’
“মেয়াদোত্তীর্ন সকল শাখা বিশেষ করে উপজেলা এবং জেলার সম্মেলনগুলো কাজ শেষ করতে হবে। আমাদের অন্তত ৪০টি উপজেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এবং ৭টির মতো জেলার সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আগাশী ১২তারিখ থেকে।”
বিজয় সুনিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলো তারা তাদের মিছিল-মিটিং-সমাবেশগুলো স্বাধীনভাবে করুক। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিরোধী দলও যারা নির্বাচন করবে তাদের স্বাগত। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।
সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তারা প্রত্যেক বিভাগের সহযোগী সংগঠনগুলোর খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। সহযোগী হোক বা মুল দল মেয়াদোত্তীর্ন হলে সম্মেলন করতে হবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং অসম্মানিত করায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ দেয়া হয়েছে।
দুই-তিনটা বিষয় এখানে এসেছে…নারায়নগঞ্জ এবং নীলফামারী…সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শোকজ করে নোটিশ দেয়ার জন্য। এবং কাউকে কাউকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ দিতে বলা হয়েছে।”
দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জোর দিয়ে আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক বলেন, যেখানে যেখানে শৃঙ্খলার ঘাটতি আছে সেখানে সেখানে সমাধান করতে বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যেটা তারা করতে অসমর্থ হবে তা নেত্রী পর্যায়ে আসবে।