চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দাযচারা গ্রামে ১.৮৭৫০
শতক জমি কিনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মোঃ ফজলুল করিম নামের এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় নং ৮৫৭/২৪ জিডি করা হয়েছে। এবং উক্ত সম্পত্তির উপরে ১৪/১/২৪ ইং তারিখে পি.সি ৪৩৭/২০২৪ একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। নিষেধাজ্ঞা মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্টে চলমান। তারপরও যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগি মাদ্রাসা শিক্ষক ও তার পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের(মোল্লা বাড়ির) হাফেজ ফজলুল করিম সি এস ৭৫৮ দাগ ও বি এস ৯৩৯ বাড়ির দাগের অন্দরে ২৪/৮/১৯৮৭ ইং তারিখে ৮৪৯৪ নং দলিল মূলে ১ শতক ও ২৭/৮/১৯৮৭ ইং তারিখে ৮৫৬২ নং দলিল মূলে ০.৮৭৫ শতক সম্পত্তি বাড়ির শরিকদারদের থেকে সাপ কাওলা দলিল সম্পাদন করে নেন। দীর্ঘদিন সম্পত্তি বোগদল করার পরে ইদানিং কালে একইবাড়ির নেসার আহমেদ ও তার ছেলে রবিউল সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফন্ধি পেতে হাফেজ ফজলুল করিমের উপর নানান অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা জোরপূর্বক ফজলুম করিমের সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাফেজ ফজলুল করিম(৬০) বলেন, আমি পৈতৃক সম্পত্তি ছাড়াও খরিশ সূত্রে দুইটি দলিলের মাধ্যমে প্রায় দুই শতাংশ জমির মালিক হইয়া দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসতেছি। আমাদের বাড়ির নেছার আহমেদ ও তার ছেলে রবিউল জোরপূর্বক আমার খরিদ কৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আমি বাধা দিলে তারা আমার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
আমি এই সম্পত্তির ধারে কাছে গেলে আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
বাড়ির সকলে মিলে আমাদের বাড়ির এ্যাজমালি পুকুর ইজারা দেওয়ার প্রস্তাব করিলে ওপেন ডাকের মাধ্যমে আমি সর্বোচ্চ ডাক দিয়ে পুকুরখানা ইজারা পাই। ইজার টাকা পরিশোধ করার পর আমি পুকুরে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে মাছ চাষ করলে তারা আমার পুকুরে এসে বাধা দেয় এবং আমাকে মাছ ধরতে নিষেধ করে।
আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো আবদার রাখবো আমার খরিদ করা সম্পত্তি বুঝিয়া পাইতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নেছার আহমেদ (৭০) বলেন, ফজলুল করিম যেই সম্পত্তির দাবি করেন তাহার দলিল করার অনেক আগেই আমি এই সম্পত্তি খরিদ করি। এই সম্পত্তি বহু বছর আমি ভোগ দখল করার করার পর বিগত ১৩/১২/২০১৫ ইং তারিখে ফরিদগঞ্জ সাব রেজিস্টার অফিসে ৯০২৬ নং দলিল মূলে আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের নামে হেবা ঘোষণা দলিল সম্পাদন করে দেই। এবং এই সম্পত্তি ব্যাপারে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে সেই মামলার রায় ডিগ্রী আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের পক্ষে আসে। আমরা আমাদের সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছু দায়ছারা গ্রামের প্রবীণ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বহু বছর পূর্বে ফজলুল করিম এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে। বিগত কয়েক বছর যাবত শুনি নেছার আহমেদ নাকি এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে কিন্তু নেছার আহমেদ এখন পর্যন্ত কাউকে তার খরিদ কৃত সম্পত্তির দলিল দেখাতে পারেন নাই। নেছার আহমেদ ও তার ছেলে রবিউল বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ফজলুল করিমের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় এবং তার উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়। এমনকি ফজলুল করিমের ইজারাকৃত কুকুরেও মাছ চাষ করতে বাধা প্রদান করে।