হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুঁজা। উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন
পুঁজা মন্ডপে ঘুরে ঘুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন
বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক ডা. আবুল কালাম আযাদ। এ সময় তিনি উপজেলা
বিএনপির আহবায়ক এম.এ হান্নান সাহেবের পক্ষে মন্দির কমিটির নেতাদের হাতে
অনুদান তুলে দেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তারা বলেন,“একটা সময় আমরা
আপনাদের সাথে দেখা করতে পারতাম না। সন্ত্রাসী এবং স্বৈরাচারি কায়দায়
আমাদেরকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা
কমেনি। আজ সুযোগ পেয়েছি ছুটে এসেছি। আওয়ামীলীগ আপনাদেরকে
সংখ্যালগু বলে জাতির কাছে ছোট করে রেখেছে। আপনাদের ব্যবহার করে তারা
রাজনৈতিক পায়দা লুটার জন্য আপনাদের ছোট করে আসছে। অথচ আমরাও
বাংলাদেশের নাগরিক, আপনারাও বাংলাদেশের নাগরিক। নাগরিক হিসেবে আমাদের
অধিকার, মর্যাদা যেমন আপনাদেরও তেমন। আরেকটি বিষয় তারা (আওয়ামীলীগ)
হিন্দুদেরকে এমনভাবে পঁচানোর চেষ্টা করেছে যে, হিন্দু মানেই আওয়ামীলীগ।
তারা মনে করতো আওয়ামীলীগ যা বলবে হিন্দুরা তাই করতে হবে। আপনারা কী
স্বাধীন নয়? আপনাদের নিজস্বতা বলতে কিছু নেই? অবশ্যই আছে।” বক্তারা আরো
বলেন-“আপনারা ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে বুঝতে পারবেন বাংলাদেশে
যতগুলো সাম্প্রদায়ীক বা পুঁজা মন্ডপে হামলা হয়েছে তার পিছনে কোনো না
কোনো ভাবে আওয়ামীলীগের লোকেরা জড়িত আছে। আবার সেই ঘটনা পত্রিকায়
প্রকাশ করে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করে।”
১২ অক্টোবর শনিবার রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক ডা.আবুল কালাম
আযাদ ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি বাজার সংলগ্ন শ্রী শ্রী কাত্যায়নী
মন্দিরে এবং শ্রী কালিয়া মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শত শত মোটর সাইকেল
শোভাযাত্রার মাধ্যমে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা বিএনপির সদস্য মনির পাটওয়ারী, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহিন
বেপারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির, ক্রীড়া সম্পাদক সুলতান মাহমুদ,
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক
সেলিম কাজী, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাবুল মন্ডল, ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম
আহŸায়ক হেলাল মজুমদার, সদস্য সচিব বিল্লাল হাজী প্রমুখ।
এছাড়াও ডা.আবুল কালাম আযাদ উপজেলার ৯নং গোব্দিপুর উত্তর এবং ১৫নং রূপসা
উত্তর ইউনিয়নের মন্দিরগুলোও পরিদর্শন করেন।