অনলাইন ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা এলাকার মহাজন বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সোনাইমুড়ি এলাকার নুরুল হকের ছেলে। কিশোরীর ভাইয়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ৩ বছর আগে কিশোরীর মায়ের (স্বামী-পরিত্যক্তা) সঙ্গে সোনাইমুড়ি এলাকার নুরুল হকের ছেলে মিলাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে মিলাদ ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। কিছুদিন পর স্ত্রীর কিশোরী মেয়ের ওপর তার কুনজর পড়ে। গত বুধবার সকালে তার স্ত্রী বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে জুসের সঙ্গে কিশোরীকে ঘুমের ওষধ খাইয়ে দেন নুরুল। পরে অচেতন হয়ে পড়লে তিনি রাতভর তাকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় মোবাইলফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন তিনি। পরে সকালে কিশোরীর মামি ডাকাডাকি করলে কিশোরী দরজা খুলে দেয়। বিন্তু বিবস্ত্র অবস্থা দেখে তার মামি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মিলাদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কিশোরীর খালা বলেন, অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর আমার ভাগ্নি দরজা খোলে। কিন্তু সে বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। জিজ্ঞেস করতেই সে বলে সৎবাবা তার সর্বনাশ করেছে। এর আগে আমার বড় ভাগ্নিকেও মিলাদ যৌন হয়রানি করেছে। কিন্তু মিলাদের নির্যাতনের ভয়ে আমার বোন তা প্রকাশ করেনি।
কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার ভাইয়ের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।