হাজীগঞ্জে মার্কেট মালিকে হুমকি ও দোকানঘর দখলের পায়তারায় লিপ্ত এক দল ভুমি দস্যু। এ নিয়ে লিখিত ভাবে থানায় অভিযোগ করেন শাহিন সুলতানা চৌধুরী। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে,মকিমাবাদ (তাজুল ইসলাম ওসি সাহেবের বাড়ী) হাফেজ আলী আমজাদ মার্কেটের দোকান ঘরের সামনে।
ঘটনা সুত্রে জানাযায়,বিশ্বরোড চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে অবস্থিত হাফেজ আলী আমজাদ মার্কেটের স্বত্ত্বাধীকারী মো. সাইজুল ইসলাম বাবুল। এই মার্কেটের মালিক মো. সাইজুল ইসলাম বাবুল পৈত্রিক সুত্রে ২৯ শতাংশ ভূমির মালিক হন। সেই ভূমির উপর নির্মান করেন হাফেজ আলী আমজাদ মার্কেট। সেই মার্কেটের সামনের অংশে ৮ টি দোকান ঘরও রয়েছে। যা দীর্ঘদিন যাবত মার্কেটের মালিক মো. সাইজুল ইসলাম বাবুল বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য সুত্রে আরো জানাযায়,মার্কেটের মালিক মো. সাইজুল ইসলাম বাবুল তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২৯ শতাংশ ভূমির মধ্যে ৬ সতাংশ ভূমি স্ত্রী শাহিন সুলতানা চৌধুরীকে হেবা দলিলের মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। সেই ৬ শতাংশ ভূমির উপর নির্মানাধীন হাফেজ আলী আমজাদ মার্কেট।
শাহিন সুলতানা চৌধুরী জানান,আমার স্বামী কর্তৃক নির্মিত হাফেজ আলী আমজাদ মার্কেট এর ৮টি দোকান ঘর পরিচালনা করছি এবং হাজীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক বাউন্ডারী প্লান পাশ করিয়া চারদিকে বাউন্ডারী নির্মান করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। গত ৭/৮ বছর যাবত মকিমাবাদ গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মনু মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন,পলাশ চন্দ্র সাহা,বিকাশ চন্দ্র সাহা,উত্তম কুমার সাহা,আবু বকর ছিদ্দিক সোহাগ,মো. সোহেল হোসেন ও বলাখালের গনেশ সাহাসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০জন মিলে পরস্পর যোগসাজশে একত্রিত হয়ে আমার উক্ত বৈধ সম্পত্তি অবৈধ উপায়ে পেশী শক্তি খাটিয়ে জোর পূর্বক ভোগ দখলের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি আরো জানান,আমি শিক্ষকতা করি। স্কুলে চলিয়া গেলে বিবাদীগণ এই সুযোগে আমার দোকানের ভাড়াটিয়াদের দোকান ঘর ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বে-আইনী হুমকি ধমকিসহ নানান ভয়ভীতি দেখায়। গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিবাদীগণ আমার দোকান ভাড়াটিয়া দুলাল সরকার ও আবুল বাশার প্রকাশ বাবুল ডেকে বলে যে কোন মূহুর্তে আমার মার্কেট দখল করবো এবং ভাড়াটিয়াদের মালামাল সরিয়ে না নিলে দোকান ঘরে বে-আইনী ভাবে প্রবেশ করে সব কিছু ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে দিবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে থাকেন।
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, উক্ত সন্ত্রাসীরা আমার স্বামী মো. সাইজুল ইসলাম বাবুলকে হুমকি দিয়ে বলে,তাদের কথা-মতো দোকানের দখল ছাড়িয়া না দিলে যে কোন সময় মার্কেটে আগুন দিয়া জ্বালাইয়া দিবে এবং যে কোন সময়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে। এতে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার বর্গকে নিয়ে এবং আমার সম্পত্তি বে-দখল ও দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় মো.সাইজুল ইসলাম বাবুল জানান, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ২৯ শতাংশের মধ্যে বর্তমানে আমার ২৪ শতাংশ দখলে বাউন্ডারির মধ্যে রয়েছে,আর বাকি ৫ শতাংশ ইসমাইল গংদের দখলে। তবুয় তারা জোর পুর্বক আমার দোকান ঘর দখলে লিপ্ত রয়েছে। তিনি আরো বলেন,আমার সম্পত্তির বাহিরে তারা আলাদা দাগে ১৮ শতাংশ ভুমির ভুয়া দলিল দেখিয়ে জোর করে ৪০ শতাংশ ভূমি দখলে রেখেছে এবং আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. ইসমাইল হোসেন জানান,আমরা কোন প্রকার সাইজুল ইসলাম বাবুলের সম্পত্তির উপরে যাইনি এবং যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে আমাদের একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। অচিরেই আদালত কর্তৃক রায় আসলে আমরা তা দখলে যাবো।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত অফিসার ঘঠনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছেন,উভয় পক্ষের কাগজ ও দলিলপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।