চাঁদপুর সেচপ্রকল্প অভ্যন্তরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে ডাকাতিয়া নদী ও খাল সংস্কারের দাবিতে এবং কৃষক , ফসল, বনজ গাছ রক্ষা, কৃষক, মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের রক্ষার্থে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ ওনুআ পাঠাগারে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার অভাবে এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধ তৈরির পর থেকে অদ্যাবধি সঠিক ভাবে খাল খনন না করা, দখল হয়ে যাওয়া। খালগুলোর প্রধান পানির উৎস ডাকাতিয়া নদীর ন্যবতা না থাকায় এবং দখল হয়ে যাওয়া এবং সর্বোপরি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে সিআইপি অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই ঘটনা প্রতি বছরের হলেও চলতি বছরে পুরো সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরের ৬টি উপজেলার মানুষকে চরম দুর্ভোগ ও বিপদে পড়তে হয়েছে। নষ্ট হয়েছে আমন আবাদ, ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ। নষ্ট হয়েছে বাড়ি ঘর ও রাস্তা ঘাট। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতে করতে হবে সঠিক ভাবে ডাকাতিয়া নদী এবং সিআইপি অভ্যন্তরের খালগুলো উদ্ধার ও সংস্কার করার জন্য।
তাবারক উল্ল্যার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলমগির হোসেন দুলাল। এসময় আপরো বক্তব্য রাখেন, আ: ওয়াদুদ, জাহাঙ্গির আলম, বাচ্চু মিয়া, মোস্তফা কামাল মুকুল, তাজুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম কুট্টি, শান্তি শীল, মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলমগির হোসেন দুলালকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষা (সিআইপি) খডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন সংগ্রাম কমিটি, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর’ গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, যুগ্মআহ্বায়ক আ: ওয়াদুদ, জাহাঙ্গির আলম, বাচ্চু মিয়া, সদস্য তাবারক উল্ল্যা, মোস্তফা কামাল মুকুল, তাজুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম কুট্টি, শান্তি শীল, মমতাজ উদ্দিন,শেখ আলী আহাম্মদ, জিয়া উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম বিএসসি, লিপন মিয়া, লিটন পাটওয়ারী।