হাজীগঞ্জ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রচীর না থাকায় তালা ভেঙে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষা-উপকরনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির ঘটনায় থেকে মুক্তি পেতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশেয়া বেগম সীমানা প্রাচীর ও একটি গেইট নির্মান চেয়ে পৌর প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জকে অনুলিপি প্রদান করেছেন।
একটি সীমানা প্রাচীর না থাকায় গত শনিবার দিবাগত রাতে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকার সুযোগে এ চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণসহ ওয়াশ রুমের বেসিন ও কলসহ আসবাবপত্র নিয়ে যায়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শেষে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় তালাবদ্ধ করে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন শ্রেণী শিক্ষকগণ। শুক্রবার ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারনে রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে এসে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি কক্ষের তালা ভাঙা দেখতে পান শিক্ষকরা। এ সময় তারা শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করলে শিক্ষা-উপকরনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র চুরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়েশা বেগম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় ছুটির পর পরই মাদকসেবি ও বখাটেদের কারনে রাতে তালা ভেঙে বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষা-উপকরনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্ব সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।