মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তরে চলতি বছর চরাঞ্চল’সহ উপজেলায় ভুট্টার আশাতীত ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে দামও দ্বিগুণ থাকায় খুশিতে ভরে উঠছে কৃষকের মন।
উপজেলার কৃষকেরা এখন খেত থেকে সোনালি ভুট্টা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নানা জাতের ভিড়ে এবার কৃষকদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে নতুন জাত ডালিয়া-৪৪৫৫ ও বসুধা-১৬৫৫।
গত বছর যে কৃষকেরা প্রতি একরে ১১০ থেকে ১২০ মণ ভুট্টা পেয়েছেন, তাঁরা এ বছর ১৮০ থেকে ১৯০ মণ ভুট্টা সংগ্রহ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসবা ও ১৪ ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে খরিফ-১ মৌসুমে ১ হাজার ৯৫০ এবং রবি মৌসুমে ২ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে শস্যটির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ চাষ করা হয়েছে চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকায়।
উপজেলার এখলাছপুর ও সুলতানাবাদ ইউনিয়নে তিস্তার চর ঘুরে দেখা গেছে, ধু ধু বালুর খেতগুলো সবুজ আর সোনালি ফসলে ভরা। খেতে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন কৃষকেরা। কেউ ধান কাটছেন, কেউ ভুট্টা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ ছাড়া চরাঞ্চলে রয়েছে বাদাম, ডাল, মরিচ, বেগুন, শিম, কপি, পেঁয়াজ, রসুনসহ নানা ফসলের খেত।
চরজহিরাবাদ গ্রামের ভুট্টাচাষি ইব্রাহিম, চরওমেদ গ্রামের শামীম ও আলাউদ্দিন জানান, তাঁরা গত বছর স্থানীয় দোকানির কথায় কয়েক জাতের ভুট্টা চাষ করেছিলেন। কিন্তু ফলন ভালো হয়নি। চলতি বছর নতুন জাতের ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।
চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন বলেন, গত বছর যে জমিতে প্রতি একরে ১১০ থেকে ১২০ মণ ভুট্টা পেয়েছেন সেই জমিতে এ বছর মিলছে ১৮০ থেকে ১৯০ মণ ফসল।
এদিকে বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর ভুট্টার দাম দ্বিগুণ। কাঁচা ভুট্টা প্রতি মণ ১ হাজার এবং শুকনাগুলো ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর প্রতি মণ কাঁচা ভুট্টা ৪০০ এবং শুকনা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ভালো বীজ ভালো ফসলের নিশ্চয়তা দেয়। চরাঞ্চলে ভুট্টার চাষাবাদ যেমন বাড়ছে, তেমন ফলনও বাড়ছে।