চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে উচ্চ আদালতের রায়কে তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে বিবাহ রেজিস্টার করছেন আমিনুল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ থাকার পরেও অবসর কৃত ব্যক্তি কীভাবে তিনি এবং তার ছেলে ও মেয়ের জামাতা বিবাহ রেজিস্টার করেন এমন প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের। বিষয়টি আদালত অবমানসার শামিল বলে জানান অনেকে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
ঘটনার সূত্রে জানাজায়, উপজেলার ৯নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের কাজী মাওলানা আমিনুল ইসলাম গত ১লা সেপ্টোম্বর ২০২২ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বিধি মোতাবেক সকল বালাম পত্র জেলা রেজিস্টার অফিসে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি জমা না দিয়ে তার ছেলে আনিছুর রহমান ও মেয়ের জামাতা আমিনুল ইসলাম উক্ত কাগজ পত্র ব্যবহার করে এলাকায় বিবাহ রেজিস্টার করে যাচ্ছেন। যা আদালত অবমাননার শামিল বলে মনে করেন অন্য কাজীরা। এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোঃ হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ বোর্ড সুপারিশ করলে আইন মন্ত্রণালয় ২৩ নভেম্বর ২০২৩সালে ৪১১নং স্মারকে হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ প্রদান করেন। অতঃপর ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে অবসর প্রাপ্ত বিবাহ রেজিস্টার আমিনুল ইসলাম গংরা ১৫০৯৮/২৩ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ৬ মাসের জন্য নিয়োগটি স্থগিত করেন। এসময় নিয়ম অনুসারে জেলা রেজিস্টার নিয়োগকৃত অতিরিক্ত দায়িত্ব পাশ^াবর্তী নিকাহ রেজিস্টার মাওলানা ফজলুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সাবেক নিকাহ রেজিস্টার আমিনুল ইসলাম মামলার বাদী হওয়া সত্ত্বেও নিয়ম আইনের তোয়াক্কা না করে জোর পূর্ব ভাবে এলাকাতে নিকাহা রেজিস্টার করে যাচ্ছেন। যা আদালত অবমাননার শামিল। দ্রুত সময়ে মধ্যে জনস্বার্থে পূর্বের সকল বালাম ও কাগজপত্র জেলা রেজিস্টার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার দাবি সচেতন নাগরিকদের। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত বাদী ও বিবাদী কেউ যেন বিবাহ রেজিস্টার করতে না পারে এমন দাবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
অত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কাজী ফজলুর রহমান বলেন, ৯নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের কাজী আমিনুল ইসলাম অবসর গ্রহণের পর নিয়োগ বোর্ড নতুন একজনকে কাজী হিসাবে অত্র ইউনিয়নে নিয়োগ দেন। সেই নিয়োগের বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন আমিনুল ইসলাম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৬ মাসের জন্য নিয়োগ স্থগিত করেন। জেলা রেজিস্টার ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আমাকে নিয়োগ প্রদান করেন। কিন্তু আমিনুল ইসলাম আমাকে তোয়াক্কা না করে নিজেই তার বিবাহ রেজিস্টার কাজ করে যাচ্ছেন। আমি বিষয়টি জেলা রেজিস্টার কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
সাবেক কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, কাজী নিয়োগের বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা জেলা কাজী সমিতির সভাপতির অনুমতি নিয়ে কাজ করছি।
জেলা কাজী সমিতির সভাপতি ফজলুর কবির বলেন, নিয়োগ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমিনুল ইসলাম তার পরিবারের একজনের বিবাহ করাবে বলে আমার কাছে অনুমতি চেয়েছেন আমি দিয়েছি। বাহিরে কোনো কাজ করার অনুমতি দেই নাই। আমি উনাকে আজই মানা করে দিচ্ছি যাতে কোনো বিবাহ রেজিস্টার না করে।